বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ
কৃষি মন্ত্রীর সরল বিশ্বাসে এল. এ. এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি কাজু বাদাম চারা নিয়ে প্রতারণা আশ্রয় নিয়েছে ।
গতবছরের ২০শে জুন কাজু বাদাম চারা নাসারী থেকে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) চারা কৃষি মন্ত্রী নির্দেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাজু ও কফি প্রকল্পের মাধ্যমে উক্ত নার্সারি থেকে কাজুবাদামের চারা কৃষকদের সরবরাহ শুরু করেন। যার মূল্য ২,৪০,০০০০০টাকা, কিন্তু উক্ত নার্সারি কৃষকদের কে ভাল কাজুবাদামের চারা বিতরণ না করে সব নষ্ট চারা বিতরণ শুরু করেন। এবং এল.এ.এগ্রো চারা নিয়ে পাহাড়িদের মাতায় হাত, চারা বিতরণ করার আগে চারা ১০-১২ দিন হার্ডেনিং করা লাগে এ সব নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা করেনি উক্ত নার্সারি। হার্ডেনিং না করার জন্য অনেক চারা মারা যাচ্ছে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার জন্য ২১১ কোটি টাকার কাজু বাদাম ও কফি প্রকল্প আজ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। যে সব জায়গায় কাজুবাদামের চারা বিতরণ ও রোপন করা হয়েছে সেখানে স্থান ভেদে ৩০% থেকে ৭০% চারা ইতিমধ্যে মারা গেছে। যেখানে উক্ত নার্সারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সবোর্চ্চ ১০% চারা মারা যাবার কথা বলেন। উনি আরো বলেন কৃষি কর্মকর্তারা রাসায়নিক সার দেয়ার কারণে চারা মারা যাচ্ছে এবং সকল দায় ভার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দিচ্ছেন। বান্দরবানের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন চারা রোপণের সময় তারা জৈব সার ছাড়া আর কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি। কয়েক জন কৃষক বলেন এতো কষ্ট করে বাগান পরিষ্কার করে চারা রোপণের ৫-৬দিনের মধ্যে চারা মারা যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কৃষকরা বলছেন এতে তাদের অর্থ ও সময় নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও উক্ত নার্সারি ম্যানেজার বিএনপি সক্রিয় কর্মী ও ৭-১০ টি মামলার আসামি। বান্দরবানকে বিএনপির স্থায়ী ঘাঁটি হিসেবে তৈরি ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া উক্ত নার্সারি যশোর থেকে বিএনপির অনেক কর্মীকে নিয়ে এসে এখানে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এসব লোকজনদের সরাসরি মদদ দিচ্ছে নার্সারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাই উক্ত এলাকার সাধারন জনগন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।