বাংলাদেশ মেইল ::
বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ,রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের বগিভিক্তিক গ্রুপ ৬৯ এর সদস্য
মো: নাঈম, (আধুনিক ভাষা, ১৯-২০) কে ছয় মাস
, সাইফুল ইসলাম,( বাংলা ১৯-২০) কে মাস,
আশরাফুল আলম নায়েমকে (রসায়ন (১৬-১৭) এক বছর, আকিব জাভেদকে , (পরিসংখ্যান বিভাগ ১৬-১৭) ছয় মাস, জুনায়েদ হোসেন জয়কে (ইতিহাস, ১৫-১৬) ছয় মাস, ফরহাদ, (অর্থনীতি, ১১-১২), মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া সিএফসি গ্রুপের মিজা কবির সাদাফকে (আইন ১৪-১৫) এক বছর, অহিদুজামান সরকারকে ( লোকপশাসন,১৪-১৫) ছয় মাস,
আরিফুল ইসলামকে (সমাজ তত্ত্ব, ১৫-১৬), ছয় মাস,খালেদ মাসুদকে ( আইন বিভাগ ১৭-১৮) ছয় মাস, তৌহিদ ইসলামকে (আরবি, ১৯-২০) ছয় মাস
, তানজিল হোসেনকে ( কম্পিউটার বিজ্ঞান, ১৮-১৯) ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘ বহিষ্কারের বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। খবর নিয়ে জানাচ্ছি।‘
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন,এ’কদিনের ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাইবাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হয় ।এ ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও শাহজালাল হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।
বিবাদমান পক্ষ দুইটি হলো, শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস ইউথ কেয়ার (সিএফসি)। এর মধ্যে সিএফসি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল এবং সিক্সটি নাইন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল টিপুর নিয়ন্ত্রণাধীন। দুটি গ্রুপের ১২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।