‘কুমিল্লা নাম বাদ যাওয়ায়’ মোশতাকের বাড়ি ঘেরাও

মোশতাকের

বাংলাদেশ মেইল ::

খন্দকার মোশতাকের কারণে ‘কুমিল্লা’ নামে বিভাগের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব, যদি বিভাগ হয় নাম হবে ‘মেঘনা’। এ কারণে মোশতাককে দায়ী করে তার বাড়ি ঘেরাও করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

শনিবার ‘সর্বস্তরের কুমিল্লাবাসী’র ব্যানারে উপজেলার দশপাড়া গ্রামে খন্দকার মোশতাকের বাড়ির সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী বলেন, সাবেক বৃহত্তর কুমিল্লা এবং আরও কয়েকটি জেলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘কুমিল্লা’ নামে নতুন বিভাগ করার প্রস্তাব করেছেন। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে গণদাবি ছিল বিভাগ হবে ঐতিহ্যবাহী ‘কুমিল্লা’ নামে। কিন্তু খুনী ও জাতীয় বেঈমান খন্দকার মোশতাকের বাড়ি এই জেলায় হওয়ায় প্রস্তাবিত বিভাগ থেকে ‘কুমিল্লা’ নাম বাদ পড়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী যে খন্দকার মোশতাক- এটা প্রমাণিত সত্য। খুনী মোশতাকের কলঙ্কজনক অমকর্মের দায় কুমিল্লাবাসী বহন করতে চায় না।

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, এই কুমিল্লা অনেক বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কুমিল্লা। কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে জাতীয় বেঈমান খ্যাত মোশতাকের স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম নয়ন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল মাহমুদ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাম্মৎ লায়লা হাসান, উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি মো. লোকমান হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবউদ্দিন রকিব, পৌর যুবলীগের নেতা মুরাদ চৌধুরী সুমনসহ আরও অনেক।