ভূমিকম্পে সাবানঘাটায় চারতলা ভবন হেলে পড়েছে

বাংলাদেশ মেইল ::

নগরীর বহদ্দারহাটের  সাবানঘাটা এলাকায় হালিমা ভবন নামে একটি চারতলা ভবন পাশের চারতলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ভূমিকম্পের পর এ ভবনটি আরেকটি ভবনের ভেতরে দু-তিন ইঞ্চি ঢুকে যায়।

স্থানীয়রা জানান একই পরিবারের চার ভাই ভবন দুটির মালিক। একটি ভবনে এক ভাই থাকেন। অন্যটিতে থাকেন তিন ভাই।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. বাহার উদ্দিন জানান , নগরের বহদ্দারহাটের খাজা সড়কের সাবানঘাটা এলাকায় হালিমা ভবন নামে একটি চারতলা ভবন পাশের চারতলা ভবনের ওপর হেলে পড়ার খবর পেয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, একটি ভবন আরেকটি ভবনের ভেতরে দু-তিন ইঞ্চি ঢুকে গেছে। তবে ভবনমালিকদের দাবি, আগে থেকেই এ রকম ছিল।

মো. বাহার উদ্দিন জানান, ভবন দুটি তার পরিবারের চার ভাইয়ের।  একটি ভবনে এক ভাই থাকেন। অন্যটিতে থাকেন তিন ভাই।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রথম আলোকে বলেন, নগরের দুটি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারবেন, ভবনগুলো আসলেই হেলে পড়েছে কি না?
এর আগে চকবাজারে আরেকটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া হালিশহর পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের খাল পাড়ে নিউ এল ব্লকের তিন নম্বর লেইনের ১২ নম্বর ‘সুফিয়ান ভবন’ নামে ৬ তলা একটি ভবন পাশের একটি ভবনে হেলে পড়ে। যদিও ভবনটি ২০১৬ সালে একবার ভূমিকম্পের পর থেকেই পাশ্ববর্তী ভবনে হেলে পড়ে। শুক্রবারের ভোরের এই ভূমিকম্পে আরও বেশি হেলে পড়েছে পাশের ভবনে। এতে করে চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই ভবনের বাসিন্দারা।

শুক্রবার ভোর ৫ টা ৪৫ মিনিটে সারা দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫দশমিক ৮।  ভূমিকম্পের পর নগরের  দুটি ভবন হেলে পড়ে।