শ্রমিক লীগ সভাপতির মৃত্যু,কক্সবাজারে সড়ক অবরোধ

বাংলাদেশ মেইল ::

দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সংযোগস্থল লিংকরোড অবরোধ করে তার সমর্থকরা।

রবিবার বেলা একটা থেকে সড়কে টায়ার পুড়িয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ দফায় দফায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। দুপুর পৌনে তিনটা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

এদিকে,দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদারকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ  । রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

তবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরী জানিয়েছেন জহিরুল সিকদার এখনো লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

এদিকে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল সিকদারের মৃত্যুর খবরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো কক্সবাজার শহরে।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল যোগে লিংকরোডের কুদরত উল্লাহর অফিসের সামনে এসে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

দুর্বৃত্তের গুলিতে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কুদরত উল্লাহ সিকদার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং আসন্ন নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী। পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

ঘটনার দিন লিংকরোডে কুদরত উল্লাহ তার ব্যক্তিগত অফিসে বসে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও তার বড় ভাই জহিরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এসময় মোটরসাইকেল নিয়ে একদল লোক এসে অফিসের ভেতরে গুলি করে পালিয়ে যায়।