খাদ্যপণ্যের দাম অনেক কমেছে, সংসদে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ মেইল::

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ কোটি পরিবারকে বিশেষ কার্ড দেওয়ায় সেই কার্ডের ভিত্তিতে ৫ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক কমেছে বলে  সংসদ অধিবেশনে  অধিবেশনে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সোমবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অপ অর্ডারে বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব যে বক্তব্য রেখেছেন দ্রব্যমূল্য নিয়ে, আজকে করোনার কারণে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমস্ত পৃথিবীতে খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপে গত কয়েক দশকের মধ্যে ভোগ্যপণ্যের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রুটির দাম ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও কিছু খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ কোটি পরিবারকে বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেই কার্ডের ভিত্তিতে ৫ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক কমেছে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি আসলে বাজারে যান না, আমি বাজারে যাই। বাজারে অনেক পণ্যের দাম কমে গেছে, সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমেছে, পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা, যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আপনি বাজারে না গিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্য মদ্যপান নিয়ে বলেছেন। বঙ্গবন্ধু মদ্যপান বন্ধ করেছেন। হাউজি জুয়া, মধ্যপান বন্ধ করেছিলেন। আপনার নেতা জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছিলেন, হাউজির লাইসেন্স দিয়েছিলেন, প্রিন্সের জরিনা লাকি খানের নাচ এই বাংলাদেশে কে চালু করেছিল? এই বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান চালু করেছিল। সুতরাং এই নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনাদের নাই। হিজবুল বাহারে মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসী বানিয়েছিলেন, দুর্নীতির কথা বলেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনসুরণ করছেন বিধায় দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশ ক্রমাগত উন্নতি করছে অর্থাৎ দুর্নীতি কমছে। আর আপনারা পর পর ৫ বার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন। আফ্রিকার দেশের সাথে যৌথ চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন, সুতরাং আপনাদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে শত শত মানুষকে সেনাবাহিনীর অফিসারদের জোয়ানকে বিনাবিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন, সেটার জবাব দেবে কে? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা কার নেতৃত্বে হয়েছে? তারেক রহমানের নেতৃত্বে, খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, সেই গ্রেনেড হামলার পর এই সংসদে একটা নিন্দা প্রস্তাব আনার কথা বলা হয়েছিল, সেদিন হাস্যরস করা হয়েছিল।

বিএনপির সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আইনের শাসনের কথা আপনারা বলতে পারেন না। শত শত নারীকে হত্যাকে করেছিলেন। যারা রাজনীতির জন্য মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করে, তারা আইনের শাসনের কথা বলার অধিকার রাখে না।