বাংলাদেশ মেইল ::
চবিতে ভুল প্রতিপাদ্যে বিশ্ব জাদুঘর দিবস পালন তাও ভুল বানানে
আজ ১৮ই মে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। প্রতি বছরের ন্যায় আজকেও চবিতে এ দিবসটি পালত হচ্ছে।
তবে এবছর এ দিবসটি পালিত হয় ভুল প্রতিপাদ্য বিষয় দিয়ে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দ্য পাওয়ার অব মিউজিয়াম’। কিন্তু অনুষ্ঠানের র্যালির ব্যানারে লেখা ছিল ‘দ্য ফিউচার অব মিউজিয়ামস: রিকভার অ্যান্ড ইমাজিন’ যা মূলত গত বছরের প্রতিপাদ্য ছিল। সেই প্রতিপাদ্যটি এবারের অনুষ্ঠানে লিখা হয়েছে তাও ভুল বানানে।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২১ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘দ্য ফিউচার অব মিউজিয়াম: রিকবার এন্ড রিইমাজিন’। সেখানে চবির বুধবারের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘রিইমাজিন’ এর জায়গায় ‘ইমাজিন’ লেখা রয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাদুঘর দিবস-২২ উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে চবি জাদুঘর ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে আলোচনা সভা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে।
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের (আইসিওএম) আহবানে ১৯৭৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইসিওএম। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে ১০৭ দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে। প্রতি বছরই একটি স্লোগান সামনে রেখে এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দ্যা পাওয়ার অব মিউজিয়ামস’।
তবে জাদুঘর দিবসের প্রতিপাদ্যে এমন ভুল কেন? জানতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, ‘আমি একটা মিটিংয়ে আছি। কথা বলা সম্ভব না।’
জাদুঘরের সেকশন অফিসার আবদুস শুকুর বলেন, ‘এটা আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করে ইন্টারনেট থেকে নিয়েছিলাম। তবে আজকে সকালে দেখলাম সেটা পরিবর্তন করেছে। আমরা বিষয়টা জানতাম না। নতুনটা আমরা আজকেই দেখছি।’
জাদুঘর শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দুই দিন আগে ব্যানার ও দাওয়াত কার্ড করেছি। পরশু পর্যন্ত ২২ সালের থিমে আমরা দেখেছিলাম ‘দ্যা ফিউচার অব মিউজিয়ামস: রিকভার অ্যান্ড ইমাজিন’ লেখা ছিল। আজকে আমরা দেখেছি থিম চেঞ্জ হয়েছে।’
সকালে পরিবর্তন করা হয়নি কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে আমাদের নজরে আসেনি। আপনি বলার পর বিষয়টা আমরা দেখলাম।’
চবি আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় তার যে নির্ধারিত দায়িত্ব, দক্ষতা ও যোগ্যতা এ সমস্ত জায়গা থেকে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। এটা যে প্রথমবারের মতো ভুল হয়েছে এমন নয়। এর আগেও হয়েছে।
‘শুধু একটা ঘটনা নয়, একের পর এক ধারবাহিকভাবে এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তার মানে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একবার ঘটলে সেটা মানবিক ভুল। কিন্তু একই ঘটনা বারবার ঘটা দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। তারা দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বারবার বলে আজকে দেখেছি। এটা দায়িত্বহীনতা।’