হাটহাজারীতে তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি, মহিলা আহত

বাংলাদেশ মেইল ::

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (১৫মে) সকাল ১০টার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মধুরঘোনা এলাকার জেলেপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।

হামলার শিকার রিয়া দাস বলেন, খেলা নিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয় এর এক পর্যায়ে আমার ভাসুর কৃষ্ণ দাসের স্ত্রী শিল্পী দাস আমার ঘরে ঢুকে আমাকে কিল-ঘুসি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে আমি উঠে তাকে কয়েকটি কিল-ঘুসি দিলে সে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে আমার ভাসুর কৃষ্ণ দাস এসে আমার মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।

আহত রিয়া দাসের স্বামী অজিত দাস বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় কাজ করতে চলে যায়, আমি যাওয়ার পর তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়, এর একপর্যায়ে আমার স্ত্রীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ধারালো কিংবা শক্ত কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করার কারণে আমার স্ত্রীর মাথায় সেলাই করতে হয়েছে। এছাড়া আমার বড়ভাই কৃষ্ণ দাস চৌকিদারের চাকরি পাওয়ার পর আমাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারবার হামলা চালাই। তার উদ্দেশ্য আমরা তাকে এই ঘরবাড়ি দিয়ে বাহিরে চলে যায়। এসব বিষয়ে আদালতে আমাদের মামলা রয়েছে এবং আজকের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাচ্চাদের ঝগড়া নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়, এর একপর্যায়ে কৃষ্ণ দাসের স্ত্রী ও অজিত দাসের স্ত্রীর মধ্যে কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে। পরে অজিত দাসের ঘরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এতে কিভাবে অজিত দাসের স্ত্রীর মাথা ফাটে তা কেউ দেখেনি। তবে কেউ কৃষ্ণদাসকে অজিত দাসের ঘরে ঢুকতে বা বাহির হতে দেখেনি। আরো জানাযায়, তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে ও তাদের স্ত্রীর মধ্যে এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে।

অভিযোগের বিষয়ে কৃষ্ণ দাস বলেন, কোন কিছুর উপর মাথা মেরে নিজের মাথা নিজে ফাটিয়েছে। আমি তাদের উপর কোনরকম হামলা করিনি বরং তাদের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেছি। অজিতের স্ত্রী খুব খারাপ মনের মানুষ, অজিত বিয়ে করার পর থেকে এই অশান্তি চলে আসছে আমাদের মধ্যে। এর আগেও বেশ কয়েকবার সামাজিক ভাবে বৈঠকে তাদের ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা সমাজের কোন বিচার মানে না। তারা এখন ঘটনাটি সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদককে বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্তপূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।