জাল ছবি শনাক্তকরণে প্রযুক্তির ব্যবহার

ওয়াহিদ জামান ::

একটি সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, বিলবোর্ড, সংবাদ বিভাগ বা অনলাইন নিবন্ধের কল্পনা করতে পারেন যেখানে কোনো ছবি নেই। ছবি শুধুমাত্র একটি গল্প উন্নত করতে সাহায্য করে না, ছবি তার নিজের নিজস্ব গল্পের ভিতকে শক্তিশালী করে। যখন চিন্তাভাবনা করে সংবাদে একটি ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেটি সংবাদের প্রাসঙ্গিকতা এবং বোধগম্যতা নতুন রুপ দেয়। নিউ মিডিয়ার যুগে, ছবি একটি গল্প তৈরি বা ভাঙতে পারে, এইভাবে ব্যবহৃত ছবির শনাক্তকরণ  সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ নৈপুণ্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে ।

নিউ মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ছবি, এডিট করা ভিডিও সাংবাদিকদের বিব্রত করে। অনেকসময় এসব ছবি বা ভিডিও ফুটেজ টেলিভিশন বা পত্রিকায়ও প্রকাশ করা হচ্ছে, যাচাই না করে৷  এসব জাল ছবি শনাক্ত করা এখন খুব বেশি কঠিন নয়৷ এমন বাস্তবতায় ডিজিটাল নিউজরুমে জাল ছবি শনাক্তকরণের প্রযুক্তি থাকা অপরিহার্য।

তবে জাল ছবি শনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হচ্ছে। যেহেতু সুনিপুণভাবে এডিট করা  ফটোগুলি মানুষের চোখে ধরা প্রায় অসম্ভব, তাই  সাংবাদিকরা ভুলভাবে মিথ্যা তথ্য পুনঃপ্রকাশ করার আগে জাল বিষয়বস্তু চিনতে ডিজিটাল নিউজরুমের ভুমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সাংবাদিকদের অধিকাংশই জাল ছবি শনাক্তকরণে  ইমেজ সার্চ ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করছেন। যদিও বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ‘ ছবি ফরেনসিক’ নিয়ে গবেষণা করছেন। কিন্তু আপনি যা দেখছেন তা সত্য কিনা তা  আপনি কীভাবে দ্রুত যাচাই করবেন , বিশেষ করে যখন আপনি আপনার মোবাইল ফোনে থাকেন? 

আপনি কোন ছবি যাচাই করার জন্য একটি সুগঠিত উপায় খুঁজছেন কিংবা এবং এমন ছবিগুলি  মূলত প্রথম কোথায় প্রকাশ করা হয়েছিল- তা খুঁজে বের করতে চান।

ডিজিটাল সাংবাদিকতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অনলাইনে পাওয়া কোন ছবি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ছবিটি  তোলার অবস্থান, তারিখ এবং আনুমানিক সময় নিশ্চিত করা উচিত।  ছবিটি প্রতিবেদনে সংযুক্ত করার আগেই    লেবেলযুক্ত/প্রদর্শন করার জন্য প্রস্তাবিত কিনা দেখা উচিত।

ইমেজ ভেরিফিকেশনে কিছু কৌশল ব্যবহৃত হয় ডিজিটাল নিউজরুমে। কোন ছবির টেম্পারিং শনাক্তকরণে বেশ কিছু সাইটের সহযোগিতা নেয়া হয়। এছাড়া কোন ছবি বা ভিডিও’র ‘মেটাডেটা বিশ্লেষণ করে ছবি বা ভিডিও সত্যতা নিশ্চিত করা যায়। কোন ছবির ‘ GPS ভূ-অবস্থান ‘ বিশ্লেষণ করে ছবি বা ভিডিও শনাক্ত করা হয়। এছাড়া ছবির ‘EXIF থাম্বনেইল নিষ্কাশন,’ এবং  বিপরীত চিত্র তুলনা কৌশল ব্যবহার করে কোন ছবি সত্যতা নিশ্চিত করার পদ্ধতিও বেশ কাজ দেয়।

ডিজিটাল নিউজরুমের জন্য  সবচেয়ে দরকারী চিত্র অনুসন্ধান ইঞ্জিনের এই তালিকাটি দেখুন৷

ডিজিটাল নিউজরুমের জন্য সেরা ইমেজ সার্চ ইঞ্জিন

এক. টিনআই

ডিজিটাল নিউজরুমগুলির জন্য একটি শীর্ষ চিত্র অনুসন্ধান ইঞ্জিন হিসাবে দেখা হয় TinEye কে।  একটি বিপরীত চিত্র অনুসন্ধান বৈশিষ্ট্যের সাথে তুলনা করে,   ছবি নিশ্চিতকরনে আপনার সঙ্গী হবে টিনআই।

একটি ছবি অনলাইনে কোথায় কোথায় প্রকাশিত  হয়েছে,  তা খুঁজে বের করতে চান। যখন এমন ছবি অন্যান্য ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দেখানো শুরু হয় তখন সাংবাদিকরা সেই ছবিটির অরিজিন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। যেমন, হেফাজতের আন্দোলনের সময় গুজব রটানোর অংশ হিসেবে ভিন্ন দেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয়েছিলো। এমন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নিউজরুমে   “সতর্কতা” বৈশিষ্ট্যও সেটআপ করা জরুরি । অ্যালগরিদম এমনকি ছবিগুলোকে সংশোধন করা হলে খুঁজে পেতে সক্ষম।

TinEye ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি ফটো আপলোড করার পাশাপাশি, কোম্পানিটি ক্রোম ওয়েব স্টোরের মাধ্যমে একটি ব্রাউজার এক্সটেনশনও অফার করে, যাতে রিপোর্টাররা সেই ফটোটি অনলাইনে কোথায় প্রকাশিত হয়েছে তা দেখতে দ্রুত যে কোনো ছবিতে ডান-ক্লিক করতে পারে।

আগেই বলা হয়েছে TinEye একটি ছবির ‘সবচেয়ে পরিবর্তিত’  ‘সবচেয়ে পুরনো’এবং ‘নতুন’ করে পুনরাবৃত্তি খুঁজে পায়। এটি ব্যবহার করে, আপনি দ্রুত আবিষ্কার করতে পারেন কোনটি ফটোশপের কাজ।

কিভাবে?  খুব সহজ।

TinEye দিয়ে যে ছবিটি যাচাই করতে চান সেটি সংরক্ষণ বা ডাউনলোড করুন। আপনি আপনার স্ক্রিনে ছবিটির উপর চেপে ধরে রাখুন যতক্ষণ না আপনি এটি সংরক্ষণ করার মেসেজ প্লেট দেখতে পান। অথবা আপনি যে ছবিটি যাচাই করতে চান তার ওয়েব ঠিকানাটি কপি করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে ইউআরএলটি অবশ্যই প্রকৃত ছবির URL হতে হবে, সমগ্র ওয়েব পেজের নয়।

এরআগে,  আপনার ফোনের ব্রাউজারে www.tineye.com-এ নেভিগেট করুন। ‘আপলোড ইমেজ’  নির্বাচন করুন এবং আপনার ফোনের নথিতে বা ছবির গ্যালারিতে ছবির সংরক্ষিত অনুলিপি অনুসন্ধান করুন বা TinEye অনুসন্ধান বারে ছবির URL পেস্ট করুন।

ফিরে আসা চিত্রগুলির মধ্যে একটি নির্বাচন করুন এবং তারপরে “আপনার চিত্র” এবং “চিত্রের মিল” এর মধ্যে টগল করুন৷ তারপরে আপনি দেখতে পাবেন কিভাবে এডিট করে, কালার চেন্জ করে ছবিটি পরিবর্তন করা হয়েছে।

রেভআই ::

এটি ডিজিটাল নিউজরুমের জন্য সেরা ইমেজ সার্চ ইঞ্জিনগুলির মধ্যে একটি। যদিও এটি TinEye এর মতই কাজ করে, RevEye গুগল  ব্রাউজারে অ্যাড-অন হিসাবে পাওয়া যায়। RevEye যাচাইয়ের জন্য আপলোড দেয়া ছবিগুলো  অনলাইনে কোথায় প্রকাশিত  হয়েছিল তা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে৷ এটি গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে প্রদত্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে রিভার্স ইমেজ সার্চের তালিকা  জানাবে সাংবাদিকদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল নিউজরুমগুলি তাদের কর্মপ্রবাহে RevEye যোগ করেছে।

এর মাধ্যমে ছবি নিয়ে বিভ্রান্ত হবার সুযোগ কম থাকে।  এছাড়া রিপোর্টাররা ভুলবশত চুরি করা ছবি পোস্ট করে বসেছে কিনা -সেটিও তদারকি করা যায় । রিভআই দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যাবে যে  ছবিগুলির অধিকার স্বর্ত্ব তাদের আছে, কিংবা অন্য পত্রিকা বা প্রকাশনা অনুপযুক্তভাবে একই ছবির ব্যবহার করছে না।

গুগল ::

আপনি কি জানেন যে আপনি গুগলে বিপরীত ইমেজ অনুসন্ধান ব্যবহার করে একই ছবি সম্পর্কিত সুত্রগুলো আপনি খুঁজে পেতে পারেন? আপনি যখন একটি ছবি আপলোড করেন, তখন Google সেই ছবিগুলি যেখানে পোস্ট করা হয় সেই ওয়েবসাইটগুলির লিঙ্ক সহ, ওয়েবে সর্বজনীনভাবে প্রকাশিত অনুরূপ ছবিগুলি খুঁজে পাবে৷ গুগলের রিভার্স ইমেজ সার্চ ফিচারটি প্রকাশকের পোস্ট করা ইমেজের অন্যান্য আকারও তুলে ধরে। বৈশিষ্ট্যটি ওয়েবে images.google.com বা Google লেন্সের মাধ্যমে পাওয়া যায় । বিভিন্ন দেশে রিপোর্টাররা প্রায়শই ফটোতে থাকা লোকদের পরিচয় বের করতে ‘গুগলের রিভার্স ইমেজ’ অনুসন্ধান ব্যবহার করে।

ফটো ফরেনসিক

FotoForensics সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ভাইরাল হওয়া কোন ভিডিও জাল করা হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে গবেষক এবং পেশাদার অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সাহায্য করে৷ এটি একটি বিশেষ উপযোগী টুলস হিসেবে কাজ করে   ডিজিটাল নিউজরুমের জন্য।  তারা অনলাইনে কী পোস্ট করছে সে সম্পর্কে একেবারে পরিষ্কার হওয়া দরকার। ফোটোফরেন্সিক এই তালিকার অন্যান্য টুল থেকে একটু আলাদাভাবে কাজ করে। ওয়েবসাইট জমা দেওয়া ছবিগুলি সংগ্রহ করে, সেই ছবিগুলির সম্পর্কে তথ্যসহ, এবং ব্যবহারকারীদের প্রতিবেদনগুলি প্রদান করে। যাতে খুব সহজেই বুঝা যায়  যে ছবিগুলিকে টেম্পার করা হয়েছে বা এডিট করা হয়েছে কিনা৷ FotoForensics যে তথ্য প্রদান করে তা একজন নবীন সাংবাদিক  হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়তো কঠিন হতে পারে, তবে যে সাংবাদিকরা এই টুলটি প্রায়শই ব্যবহার করেন তিনি খুব দ্রুত বলতে পারবেন যে কোন ছবি কোন নির্দিষ্ট উপায়ে সম্পাদনা করা হয়েছে ।

ভিডিও প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়া এখন ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও’র বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য  হয়ে উঠেছে। একটি ভিডিও প্রমাণীকরণ সিস্টেম ( ভিডিও অটেনটিফিকেশন সিস্টেম)  ডিজিটাল ভিডিওর বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে বুঝা যায় যে ব্যবহার করা ভিডিওটি টেম্পার করা হয়নি।

অনেকক্ষেত্রে  একজন ব্যক্তির মানহানি করার জন্য একটি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা যেতে পারে। অন্যদিকে, অপরাধীরা এমন কারসাজি করে শাস্তি থেকে বেঁচে যায়।  কারণ তাদের অপরাধে দেখানো ভিডিওটি আইনের আদালতে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণিত হয়। ডিজিটাল নিউজরুমের  নজরদারি ব্যবস্থায়, এটা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে যে,  প্রতিবেদনের প্রমাণ হিসাবে সংগৃহিত  ডিজিটাল ভিডিওটি আসলে ক্যামেরা দ্বারা শুট করা হয়েছে।

InVid::

ডিজিটাল মিডিয়া বিপ্লব এবং ব্রডব্যান্ড ওয়্যার্ড,   ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটির সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার একত্রিত হওয়া অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলিতে ব্রেকিং নিউজ নিয়ে আসছে; যার অনেকগুলি আসলে ভুয়া।  ওয়েব স্ট্রীম এবং টিভি সম্প্রচার মাধ্যমে বা সংবাদ সংস্থাগুলি প্রায়শই প্রতিবেদনের গল্পটি চিত্রিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও  ব্যবহার করে থাকেন।  ক্রমবর্ধমান পরিশীলিত সম্পাদনা এবং বিষয়বস্তু পরিচালনার সরঞ্জামগুলিতে অ্যাক্সেস এবং ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্কগুলিতে যে সহজে জাল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য নামকরা নিউজ আউটলেটগুলিকে তৃতীয় পক্ষের বিষয়বস্তু প্রকাশ করার আগে সাবধানে যাচাই করে থাকেন। ফলে কঠিন এমন সময়ে খরচ বাড়াতে গিয়ে দ্রুত সংবাদ ব্রেক করার ক্ষমতা হ্রাস করে। InVID এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে  যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংবাদযোগ্য ভিডিও ফাইল এবং ভিডিও সামগ্রীর নির্ভরযোগ্যতা এবং নির্ভুলতা শনাক্তকরণ, প্রমাণীকরণ এবং পরীক্ষা করার জন্য পরিষেবা প্রদান করে।

এছাড়া ছবি শনাক্ত করার কিছু কৌশলের কথা বলে থাকেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা।

ইমেজ চেকিং অ্যালগরিদম

একজন ফটোগ্রাফারই যিনি ছবি তুলেছেন তিনিি একটি ছবির নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে পারবেন।  কিন্তু একটি প্রতিবেদনে ভিন্ন ভিন্ন সোর্স থেকে পাওয়া ছবি  শনাক্ত করার সুস্পষ্ট এবং  সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল এমন একজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা যিনি একটি ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  আপলোড করেছেন বা এটি একজন প্রতিবেদকের কাছে পাঠিয়েছেন।  জিজ্ঞাসা করা যে এই ব্যক্তিটি নিজে নিজেই ছবিটি তৈরি করেছেন কিনা৷ ছবি শনাক্তকরণের কিছু অ্যালগরিদম নিয়ে গবেষকরা কাজ করেছেন ।

ডিজিটাল নিউজরুমে WebMii ব্যবহৃত হয় যেটির মাধ্যমে কোন ব্যক্তির নামের সাথে ছবির রেফারেন্স অনুসন্ধান করা হয়। ছবির সুত্র অনুসন্ধানে  ‘ওয়েব দৃশ্যমানতা’ রেটিং তৈরি করে,  জাল অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করা হয়।

মিডিয়া ভেরিফিকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট

মিডিয়া ভেরিফিকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট হল একটি ওয়েব-ভিত্তিক আরেকটি ইমেজ ভেরিফিকেশন টুল। এতে  ‘ ছবি টেম্পারিং শনাক্তকরণ’ ‘মেটাডেটা বিশ্লেষণ ‘ ‘GPS ভূ-অবস্থান ‘ ‘EXIF থাম্বনেইল নিষ্কাশন,’এবং একটি বিপরীত চিত্র অনুসন্ধানের মতো এলগরিদম  অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ রিভিল ইমেজ ভেরিফিকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ড চালু করা হয়েছে ২০১৬ সালে।

ভুয়া ছবি ব্যবহার করে ভুয়া খবর” ছড়ানো সম্পর্কে এইসব অনলাইন টুলস ব্যবহার করে সতর্ক হতে পারবেন যে কেউ।  তখন ধারাবাহিকভাবে ভুয়া খবর বা জাল ছবি শেয়ার করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবেন সাধারণ মানুষ।