বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে হাসপাতাল চালু

বাংলাদেশ মেইল ::

বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে খোলা রাখা হয়েছে ন্যাশনাল হসপিটাল ও জেনারেল হসপিটাল নামের দুইটি হাসপাতাল। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতাল দুটি খোলা রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে ডুকে দেখা যায় দুই হাসপাতালেই স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান,ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি মালিকপক্ষ জানাইনি।

দুই হাসপাতালই উপজেলা জামায়াতের আমির ও সহকারী আমিরদের পরিচালনাধীন। জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মইন উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল কর্তপক্ষ আমাদরকে ভ্রাম্যমান আদালতের কথা বলেনি। আর আপনারা সাংবাদিকরা অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ঢুকে আরও মারাত্বক অন্যায় করছেন।

অভিযাগ আছে, বাঁশখালীতে জামায়াত ইসলামির সাবেক ও বর্তমান দলবদ্ধ নেতারা আত্মগোপন থেকে কােনরুপ বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ১৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১৩টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ড্রাগ প্রশাসন ও স্থানীয়  প্রশাসনকে কাবু করতে ওইসব হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডার করা হয়েছে কতিপয় জামায়াত সমর্থক  আইনজীবি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ বিভিন স্তরের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের।

বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট  মাহামুদুল হাসান বলেন, আদালতের আদেশ অমান্যকারীদর বিরুদ্ধে পুনরায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাে. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত বন্ধ করা হাসপাতাল কিভাবে চালু করেছে বিষয়টি দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য  কর্মকর্তাকর বলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও  ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের আদেশ অমান্য করা হাসপাতাল ২টির মালিককে ডাকা হয়েছে। কেন আদেশ অমান্য করেছেন তা জানা হবে।

উল্লেখ্য, বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট  মাহামুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য  ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মজুমদার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গত সোমবার (২৯ আগষ্ট) বাঁশখালী উপজেলা সদর ও চাম্বল জেনারল হাসপাতাল, ন্যাশানাল হাসপাতাল (প্রাঃ) লিমিটেড, মাতৃসদন হাসপাতাল,মামনি ডায়াগনষ্টিক , ইউনিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, মিনি ল্যাব, মর্ডান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মোট ৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের  কার্যক্রম বন্ধ কর দিয়েছিল।