মুদ্রাস্ফীতি বাড়লেও দেশে রপ্তানী আয়ের সুবাতাস

বাংলাদেশ মেইল ::

দেশের রপ্তানি আয় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পোশাক খাতে রপ্তানি থেকে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। গত বছরে এটি ছিল ২.৮৮ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে এক দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে।

গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি আয় থেকে ৩.৪৭ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছিল।২০২৩ অর্থবছরের জুলাইয়ে ৩.৯২ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার জায়গায় ১.৬৫% বেশি আয় হয়েছে।

বাংলাদেশী পণ্যের প্রধান গন্তব্য ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা আতঙ্কে ছিলেন।

অর্থনীতির গবেষক বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন  বলেন, ‘অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে এখন রপ্তানি খাত। সত্যিই অবাক করার মতো উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে এই খাতে। এই যে করোনার ধকল সামলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে চলেছে রপ্তানি আয়।’

বহুমুখী উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, জ্বালানি ও বন্দর সমস্যাসহ কয়েকটি সংকটের কারণেও রপ্তানিকারকরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া কাজের আদেশ কম পাওয়াতেও তারা আশঙ্কা করেছিলেন রপ্তানির গতি ধীর হতে পারে।

ইপিবি বলছে, পোশাক খাতে রপ্তানি থেকে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। গত বছরে এটি ছিল ২.৮৮ বিলিয়ন ডলার। হিসাবমতে গত অর্থবছরের তুলনায় এটি ১৬.৬১% বৃদ্ধি পেয়েছে।