তানভীর আহমেদ:::
পূর্ব চট্টগ্রামে অনেক ডিসি এসেছিলেন এবং চলেও গিয়েছেন । পদধিকার বলে তারা সকলেই সিজেকেএস এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সেভাবে ভূমিকা তারা রাখতে পারেননি কোন এক অজ্ঞাত কারণে ।চট্টগ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর বর্তমান ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। তার কথার সাথে কাজের মিল চট্টগ্রামের ক্রীড়া প্রেমিক জনতা ইতিমধ্যে পেয়েছে।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আউটার স্টেডিয়ামে মেলা বন্ধ সহ অবৈধ দখলদার থেকে আউটার স্টেডিয়াম অবমুক্ত করে সেখানে কিশোর তরুণদের নির্বিঘ্নে খেলাধুলার ব্যবস্থা করেছেন । এবার আউটার স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছেন ডিসি ফখরুজ্জামান।
আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় আউটার স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস এর সভাপতি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও সিজেকেএস এর সাধারণ সম্পাদক আ .জ.ম নাসির উদ্দিন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) ও সিজেকেএস এর সহ- সভাপতি রাকিব হাসান, সিজেকেএস এর সহ-সভাপতি লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল , মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস এর যুগ্ন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল বশার প্রমূখ।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবুল বাশার মোঃ ফখরুজ্জামান বলেন, ” আউটার স্টেডিয়াম থেকে তামিম , আফতাব, আকরাম খান, আশীষ ভদ্র , নান্নুর মত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় উঠে এসেছে । আউটার স্টেডিয়ামের হারানো সোনালী অধ্যায় আবার ফিরিয়ে আনা হবে । আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই ।আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা এখানে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করব । এখানে ফুটবলের পাশাপাশি যাতে অন্যান্য খেলাধুলার প্র্যাকটিস হয় সে সুবিধা ও রাখা হবে । এছাড়া সাথে ওয়াক ওয়েও থাকবে ” ।
সিজেকেএস এর সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাসির উদ্দিন বলেন, ” আউটার স্টেডিয়াম কে আধুনিকায়নের জন্য চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে ” ।
সূত্রে জানা গেছে, আউটার স্টেডিয়ামের মোট আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। ৮ হাজার বর্গফুট জুড়ে তৈরি করা হবে ফুটবল খেলার মাঠ। বাকি ৩ হাজার বর্গফুট জুড়ে ক্রিকেট নেট প্রাকটিস, ভলিবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে । মূল স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি , সার্কিট হাউস প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরী প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া টয়লেট সুবিধার পাশাপাশি ড্রেসিংরুম এবং বসার জায়গাও থাকবে ।
চট্টগ্রামের ক্রীড়া মোদী জনতার প্রত্যাশা, ডিসি ফখরুজ্জামানের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে আউটার স্টেডিয়াম থেকে পূর্বের ন্যায় চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ পাবে নান্নু, আকরাম, এফ আই কামাল, আশীষ ভদ্র, তামিম, আফতাবের মত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের অসংখ্য খেলোয়াড়।
বাংলাদেশ মেইল /নাদিরা শিমু/Ns