আরো দুই দিন থাকবে শৈত্যপ্রবাহ

    শৈত্যপ্রবাহ

    রাজধানীসহ গোটা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু দেশের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরো অন্তত দুই দিন। সূত্র আরো জানায়,  উচ্চ চাপ বলয় ও উত্তর-পশ্চিমা শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ (জেড বায়ু) বেশি সক্রিয় থাকায় এবং কুয়াশা ও জলীয় বাষ্পে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় শীতও তীব্র অনুভূত হচ্ছে। এ সময় কুয়াশাস্তর নিচে নেমে আসায় মেঘলা আবহাওয়াও বিরাজ করছে।

    এদিকে, উত্তরের ঠাণ্ডা হাওয়ার দাপটে রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও রয়েছে শীতের তীব্রতা। আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবারের থেকে তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিরাজমান এই আবহাওয়া আরো অন্তত দুই দিন চলবে।

    সূত্র আরো জানায়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার আরও বাড়বে। মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার আভাস তুলে ধরে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকার তাপমাত্রা আরো ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমবে। আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।

    হাইওয়ে পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে দৃষ্টি সীমা অনেকাংশে কমে আসছে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় বাস্ট্যান্ডে অবস্থানরত ও মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কুয়াশার কারণে রাতে নদী পারাপারে ফেরী চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় নৌরুটে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সাত ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।