কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি দেওয়া সেই প্রার্থী হেরেছেন

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলায় ভোটের ফলাফলে নিজেদের আসন ধরে রেখেছেন সদ্য সাবেক দুই চেয়ারম্যান। তবে রৌমারীতে পরিষদ ও দলীয় পদ দুটোই হারিয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলী।

গতকাল বুধবার ভোট শেষে রাত সাড়ে ১১টায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মো. আলমগীর। ঘোষিত ফল অনুযায়ী চিলমারীতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন সদ্য সাবেক হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন। চর রাজিবপুর উপজেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম।

চিলমারীর পুনর্নির্বাচিত চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমের (লিচু) বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। জাপা নেতা শাহীন পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬০৫ ভোট। আর আওয়ামী লীগ নেতা লিচু পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৩৪ ভোট।

চর রাজিবপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তিন ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছোট এই উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, ৬০ ভাগ। পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা মো. শফিউল আলম পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আরিফুল কবির তালুকদার রানা প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট।

তবে রৌমারী উপজেলায় পরিবর্তন এসেছে। সেখানে ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহিদুল ইসলাম শালু। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীকে মাত্র ২৫১ ভোটে পরাজিত করে পরিষদের দায়িত্ব পেয়েছেন। এই উপজেলার আরেক প্রার্থী বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলী পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫০ ভোট। দলের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতির পদও হারিয়েছেন এই প্রার্থী।

রিটার্নিং অফিসার মো. আলমগীর বলেন, ‘তিন উপজেলাতেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। চর রাজিবপুরে ৬০ ভাগ, চিলমারীতে প্রায় ৪০ দশমিক ৩৮ ভাগ এবং রৌমারীতে ৪৬ দশমিক ২০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি ছিল। গড়ে ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ৮৬ ভাগ। পরের দুই ধাপেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’