চট্টগ্রামে করোনার দাপটের এক বছর, বেড়েছে সংক্রমণের হার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় নগরীর দামপাড়া এলাকায়। এক বছরের মাথায় এসে জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮০১। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৮৯ জন। চট্টগ্রামে করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৮৯ জন। চট্টগ্রামে  মৃত্যুর হার ১ শতাংশ।

    সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতেও বাড়ছে না জনসচেতনতা। এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ভীড় চরমভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ারের মতে এক বছর পরে চট্টগ্রামে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হলো। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে,  গত ফেব্রুয়ারিতে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৮৬৪ জনের। আর মার্চে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৭৫। চট্টগ্রাম নগরীতে বেশি শনাক্ত হয়েছে, ৩২ হাজার ৪৯৮ জন (প্রায় ৮০ শতাংশ)। আর উপজেলায় ৮ হাজার ৩০৩ জন (২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ)।

    ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘অবস্থা খুবই ভয়াবহ। গতবারের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। ভয়ের বিষয় হলো, মোট শনাক্তের মধ্যে ৩১-৪০ বছর বয়সী রয়েছে ৯ হাজার ৬০১ জন। ।’

    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৭টি।

    চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলাতেই সংক্রমণ বাড়ছে। এখন শনাক্ত রোগীদের আইসোলেশন (বিচ্ছিন্ন রাখা) ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) নেওয়া নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কোনভাবেই।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন  বদ্ধ কক্ষে বড় জমায়েত থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট শনাক্ত রোগীর চেয়ে সুস্থ হওয়া ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাদ দিলে দেশে গতকাল ২ এপ্রিল চিকিৎসাধীন রোগী ছিলেন ৬৮ হাজার ২৮ জন। ঠিক এক মাস আগে, মার্চের ২ তারিখে চিকিৎসাধীন রোগী ছিলেন ৪০ হাজার ২০২ জন।

    বাংলাদেশ মেইল/রানা