আবহাওয়ার পরিবর্তনে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট-অ্যালার্জীর সমস্য

    বিএম ডেস্ক : মনোরম বাতাস। শহরের আনাচে কানাচে ফুটতে শুরু করেছে ছাতিম, হাসনুহানা। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা হওয়ার দিন যে এসে গিয়েছে, তা জানান দিচ্ছে কোকিলের কুহুতান। এরই মধ্যে সকালের দিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। দুপুরের একটু গরম হলেও, রাতে হালকা ঠান্ডা। সব মিলিয়ে ‘বসন্ত এসে গেছে’।

    বসন্ত, মানে কাব্য ও প্রেমের কাল। বাতাসে উড়ছে ফুলের রেণু। এই রেণু শুধুই স্ত্রীফুলের গর্ভকেশরে পরাগ সংযোগ ঘটায় না। সেইসঙ্গে প্রবেশ করে মানুষের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসেও। আর তাতেই যত বিপত্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে বাতাসে ভেসে বেড়ানো ফুলের রেণু সিওপিডি রোগীদের সমস্যা বাড়ায়। চেষ্ট স্পেশালিস্টদের কথায়, ফুলের রেণু তীব্র অ্যালার্জেন। বিশেষ করে যাঁরা অ্যালার্জি প্রবণ বা যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য ফুলের রেণু মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে। অ্যালার্জি মাত্রা ছাড়ালে এবং সময় মতো চিকিৎসা না হলে শ্বাসকষ্ট থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে ধূলিকণায় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ত্বক এবং চোখে অ্যালার্জি। হাম বা বসন্তের প্রকোপ বাড়ে। তাই প্রবীণদের এবং যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই সময় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    ক্যালেন্ডার মেনেই ফাগুনের শুরুতেই বসন্ত এসে গিয়েছে বাংলায়। শুক্রবারের চেয়ে শনিবার তাপমাত্রা বাড়ল আরও দু’ডিগ্রি। ওই দিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। কিন্তু শনিবার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। যদিও রাতের দিকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বারও দায়ী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সকালের দিকে শীতের আমেজ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আবহবিদরা বলছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঠান্ডার এই অনুভূতি বজায় থাকবে। কিন্তু শীত আর ফিরবে না।

    বসন্ত নিয়ে প্রচুর কবিতা আছে। অনেকের এটা সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া এই সময়েই পাওয়া যায়। দোল, হোলি-সহ নানা উৎসব এই ঋতুতে হয়। বসন্তকে বলা হয় ‘ঋতু রাজ’। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই বসন্তই রোগ ছড়ানোর প্রকৃত সময়। তাই ঋতুকে উপভোগ করে কিছুটা সাবধানে থাকতেই হবে।

    বিএম/রনী/রাজীব