ওজনে কম, পঁচা, বাসী ও খাদ্যে ভেজাল গর্হিত অপরাধ

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে বিভিন্ন ইফতারী বাজার এবং বিপনী কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন এবং ক্রেতাদের মাঝে ভেজাল বিরোধী প্রচারপত্র বিলি করেন নাগরিক উদ্দ্যেগের নের্তৃবৃন্দরা। নাগরিক পদযাত্রার সপ্তম দিন আজ ২৮ মে মঙ্গলবার বেলা ৩ টায় নাগরিক উদ্যোগের অন্যতম উপদেষ্টা রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছের নেতৃত্বে এসব প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

    এসময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ইলিয়াছ বলেন, ওজনে কম, পঁচা, বাসী ও খাদ্যে ভেজাল দেওয়া এক ধরনের গর্হিত অপরাধ। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য খাদ্যের সাথে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ করছে। শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খাদ্যপণ্যেই এই ভেজালের ছড়াছড়ি।

    তিনি বলেন বেশি মুনাফার লোভে এসব অসাধু ব্যবসায়িরা মুড়ির রং অধিক সাদা করতে ব্যবহার করছে ইউরিয়া। পচন থেকে রক্ষা করতে মাছে দেওয়া হচ্ছে ফরমালিন, দুধে মেশানো হচ্ছে মেলামিন। সজীব ও আকর্ষণীয় রাখতে মিষ্টিতে ব্যবহার করা হয় রংবর্ধক কেমিক্যাল। দীর্ঘক্ষণ মচমচে রাখার জন্য জিলাপি ও চানাচুর তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে পোড়া মবিল। বিভিন্ন ধরণের মসলার সাথে মেশানো হচ্ছে ভুসি, কাঠের গুড়া।

    তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মধু মাস চলছে এ মাসে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল বাজারে পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে যে, আম কলাসহ অন্যান্য ফল দ্রুত পাঁকানো ও আকর্ষণীয় রংয়ের করার জন্য ক্ষতিকর কার্বাইড ব্যবহার করা হচ্ছে।

    তিনি খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম সারাবছর ধরে পরিচালনা করার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান এবং ক্রেতাসাধারণকেও এসব ভেজালপণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী হোসেন কোম্পানী, আব্দুর রহমান মিয়া, নুরুল কবির, এজাহারুল হক, মোঃ শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, মোঃ সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মোঃ মুরাদ, রকিবুল আলম সাজ্জী, মোঃ ওয়াসিম, মোজাম্মেল হক সুমন, মোঃ ওসমান, শিশির কান্তি বল, মনিরুল হক মুন্না, মেহেদী হাসান প্রমূখ।

    বিএম/রাজীব সেন..