বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অংশীদার হতে চায় ভারত

    ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর এবং পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উদযাপনে অংশীদার হতে চায় ভারত।

    বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারী বাসভবনে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন মোদী।

    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ৭ম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিনে দ্বিতীয় বারের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান আসাদুজ্জামান খান। এ সময় টানা তৃতীয় বারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি।

    আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

    ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মিত্রবাহিনীর কাছে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ওই যুদ্ধে কয়েক হাজার ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন।

    আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকারে ফেরার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১১ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীকে সম্মাননা জানানো হয়। পরবর্তীতে সম্মাননা পান ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ী এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

    ২০১৫ সালের ৭ জুন বাংলাদেশ সফরে এসে বাজপায়ীর পক্ষে সেই সম্মাননা স্মারকটি নেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    বিএম/এমআর