জলঢাকায় শোক দিবসে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা নেতাদের বৈঠক

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নীলফামারীর জলঢাকায় আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছেন নীলফামারী জেলা নেতারা।

    শুক্রবার সকালে উপজেলা ওয়ামীলীগ সভাপতি আনছার আলী মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল সমর্থকদের সাথে পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয় বৈঠকে বসে জেলা নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এড. মমতাজুল হক, সাংগঠনিক সস্পাদক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন।

    আওয়ামীলীম নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক শেষে বাদজুমা জলঢাকা সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অপর পক্ষ সাবেক এমপি সমর্থকদের কে নিয়ে বৈঠকে বসেন তারা।

    এসময় তাদের বৈঠকে যোগদেন জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর।

    বিকাল সাড়ে ৩টায় বৈঠক শেষে নীলফামারী জেলা সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সমঝোতার জন্য দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করছি। ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের হুশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে। শোক দিবসে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমেদ বলেন তদন্ত শেষে যে পক্ষ দোষী প্রমানিত হবে আমাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

    এদিকে গতকাল শোক দিবসের সংঘর্ষের ঘটনায় মিল্লাত আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। অন্যদিকে এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এমপি সমর্থকদের পৃথক দু’টি অভিযোগ থানায় জমা পরেছে।

    জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ আহতর ঘটনায় মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

    উলে¬খ্য জলঢাকায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুর ও বিকালে দু’দফায় জলঢাকা পৌরশহরে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বিএম…