কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আলোচিত সে ডা. মিতু

    চট্টগ্রাম মেইল : হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পাওয়ার এক সপ্তাহ পর আজ বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রামের আলোচিত ডা. আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার প্রধান আসামি ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতু।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

    চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. আবদুস ছালাম কারামুক্তির তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বুধবার হাইকোর্টের জামিননামা চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যার সময় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

    এর আগে গত ২৮ আগষ্ট বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ মিতুর জামিন মঞ্জুর করেন। তখন আদালতে মিতুর জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা মো. সোয়েব মুহিত।

    গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ফেসবুকে আত্মহত্যার জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করে বিভিন্ন প্রমাণাধিসহ স্ট্যাটাস দিয়ে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লক ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়িতে শিরায় বিষপ্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ।

    ঘটনার দিন রাতেই নগরীর নন্দনকানন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিতুর খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে আটক করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লার নের্তৃত্বে তাকে আটক করা হয়।

    ওইদিন বিকেলে আকাশের পরিবার চাঁদগাও থানায় মামলা দায়ের করেন ডা. মোস্তাফা মোরশেদ আকাশের মা জোবেদা খানম। ৬ জনকে এজাহার নামীয় আসামি এবং আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাত আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দন্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

    মামলায় আসামিরা হলেন-তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)। একই দিন বিকেলে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. খাইরুল আমিনের আদালতে তোলা হলে আদালত মিতুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    বিএম/আরএস..