এক লাখ শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

    বিএম ডেস্ক: বেসরকারি স্কুল, কলেজে আরো এক লাখ শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ তালিকা ধরে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করার প্রক্রিয়া করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা এনটিআরসিএ বলছে, এই নিয়োগের পর নিবন্ধন উত্তীর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির আগ্রহী প্রার্থী আর বেশি থাকবে না।

    জানা গেছে, ১ থেকে ১৪তম নিবন্ধন উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার। সম্প্রতি ১ লাখ ২০ হাজার প্রার্থী নিয়োগের জন্য এনটিআরসিতে আবেদন করেন।এনটিআরসি জানিয়েছে, সম্প্রতি জাতীয় মেধায় প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ১ লাখ ২০ হাজার প্রার্থী প্রায় ২৫ লাখ আবেদন করেছে। পদ প্রতি আবেদন পড়েছিল ২৫টি। সংশ্লিষ্টরা জানান, এনটিআরসিএ তে ৩১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ নিয়োগের জন্য ১৫ হাজার প্রতিষ্ঠান তাদের শূন্য পদের তালিকা পাঠিয়েছি। তাতে শূন্য পদ ছিল ৪০ হাজার।

    এনটিআরসিএ মনে করছে, অবশিষ্ট ১৬ হাজার প্রতিষ্ঠানে প্রায় সমান সংখ্যক অর্থাত্ আরো ৪০ হাজার পদ শূন্য থাকলেও তার তথ্য পাঠায়নি। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে আগামীতে তথ্য পাঠাবে। ফলে ৩১ হাজার প্রতিষ্ঠানে শূন্য হবে অন্তত ১ লাখ পদ। যেখানে চলতি বছরের মধ্যেই নিয়োগ দেওয়া হবে।

    আগামী মে মাসে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসে। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে। এরপরই শিক্ষক নিয়োগের জন্য জাতীয়ভাবে সার্কুলার দেওয়া হবে। এনটিআরসিএ চাইছে মোট শূন্য পদে বিপরীতে অন্তত তিনগুণ আবেদনকারী থাকা দরকার। সে হিসাবে অন্তত ৩ লাখ আবেদনকারী থাকতে হবে।

    এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন জানিয়েছেন, সারা দেশে স্কুল কলেজে ১২শ নারী কোটার পদ শূন্য রয়েছে। এই কোটা পূরণের জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে সার্কুলার দেওয়া হবে। তিন বার সার্কুলার দেওয়ার পরও নারী কোটা শূন্য থাকলে এই পদগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। যেখানে পুরষ প্রার্থীও আবেদন করতে পারবে।

    বিএম/রনী/রাজীব