শিক্ষক আটকের গুজবে শিক্ষার্থীদের থানা ঘেরাও,ভাংচুর

    বাংলাদেশ মেইল ডেস্ক : ময়মনসিংহে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শরীফুল আলমকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার গুজবে, কোতায়ালি মডেল থানায় হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

    এ সময় পুলিশ সদস্যরা রাবার বুলেট, টিয়ার সেল ও লাঠিচার্জ করার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ বলছে তারা গুজবে কান দিয়ে সংঘর্ষ ও ভাংচুরে জড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। । উভয় পক্ষের ভাষ্যমতে এ ঘটনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, সকালে নগরীর টাউনহল মোড়ে ওই শিক্ষকের গাড়ির সাথে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশা চালকের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে তার সাথেও কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি সুরাহার জন্য ওই শিক্ষককে ২ নম্বর ফাঁড়িতে নেয়া হয়।

    কিন্তু শিক্ষককে লাঞ্ছিতের গুজব ছড়িয়ে পড়লে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহত শিক্ষক শেখ মো. শরিফুল আলম বলেন, ওই অটোরিকাশার চালকের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার সময় যানজট সৃষ্টি হলে ওই ট্রাফিক পুলিশ এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি শিক্ষক পরিচয় দিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে সে আবারও আমাকে ধাক্কা দেয়। পরে আমিও তাকে ধাক্কা দিলে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে মারধর করে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে গালমন্দ করে। পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

    খবর পেয়ে হাসপাতাল ও কলেজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    বিএম/রাজীব…