আজ কোস্টগার্ডের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

    বিএম ডেস্ক: উপকূলীয় ও সমুদ্র নিরাপত্তা বাহিনী কোস্টগার্ডের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দিবস আজ। এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাহিনীর সদর দপ্তরে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
    অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করবেন এবং উন্নয়ন ও অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাহিনীর সদস্যদের পদক পরিয়ে দেবেন।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশের জলসীমা ও উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কোস্টগার্ড নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘দেশের বিশাল সমুদ্র এলাকা, উপকূলবর্তী ও অধিভুক্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে জনসাধারণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, মানবপাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, নৌ অপরাধ দমন প্রভৃতি কাজে কোস্টগার্ড জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।’

    বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, সাহসিকতা ও অবিচল আস্থার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্টগার্ড জানায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের উন্নয়ন ও অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ জনকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক, ১০ জনকে প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক, ১০ জনকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ও ১০ জনকে প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদকসহ মোট ৪০ জনকে পদক প্রদান করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক গ্রহণ করবেন নৌ-বাহিনী প্রধান ও সাবেক কোস্টগার্ড প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এএমএমএম আওরঙ্গজেব চৌধুরী।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোস্টগার্ডের কার্যাবলি পালন করে আসছিল। এর পর ১৯৯৪ সালে তৎকালীন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার একান্ত উদ্যোগে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠা বিল পাস হয়।

    এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন নৌবাহিনী থেকে দুটি জাহাজ ধার নিয়ে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কোস্টগার্ডকে একটি বাহিনীতে পরিণত করতে ২০১৬ সালের ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি যুগোপযোগী করে কোস্টগার্ড আইন পাস হয়।

    বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী বর্তমানে গভীর সমুদ্র ও সমুদ্র উপকূলীয় প্রায় ৮০৫ নটিক্যাল মাইল এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা এবং অফুরন্ত সম্পদের আঁধার সামুদ্রিক জলসীমার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, মৎস্যসম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান, ডাকাতি দমনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জনগণের জানমাল রক্ষায় কোস্ট গার্ড বাহিনী সবসময় নিয়োজিত রয়েছে।

    বিএম/রনী/রাজীব