ঢাকা মেইল : রাজধানী পুরান ঢাকার চকবাজারের কেমিকেল গোডাউনে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। তবে ঢাকা মেডিকেল মর্গ সুত্রে এ সংখ্যা ৬৭ বলে জানা গেছে।
এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া লাশগুলো শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। লাশের খোঁজে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে সকাল পৌনে ১০ টা পর্যন্ত জানা গেছে রাজধানীর চকবাজারে রাজ্জাক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ টি লাশ আনা হয়। নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ। পাঁচজন নারী। চারজন শিশু।
নিহতদের কয়েকজনের পরিচয় জানা গেলেও সকাল পৌনে ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত অধিকাংশের পরিচয় জানা যায়নি। সনাক্ত হওয়া লাশগুলো খুব কম সময়ের মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল।
তাছাড়া অগ্নিদগ্ধ ১০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন জানিয়ে শ্বাসনালী পুড়ে গিয়ে চারজনের অবস্থা আশংকাজনক। একজনকে রাখা হয়েছে আইসিউতে। ঢাকা মেডেকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছে আরো অন্তত অর্ধশত।
তাছাড়াও অগ্নিদগ্ধ কয়েকজন মিটফোর্ড হাসপাতালে ও কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলের আশেপাশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ সকাল ১০টার সময় জানান, ইতিমধ্যে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ওই এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি অস্থায়ী কমান্ডপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করেছে। তাছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছেন বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারও। কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা।
কেমিক্যাল গোডাউন ভবনের মালিক লালবাগের সাবেক এমপি হারুন-অর-রশিদের চাচা হাজী আব্দুল ওয়াহেদের বলে জানা গেছে। ভবনটি প্লাস্টিক ও পারফিউমের গুদাম ছিল বলে স্থানীয়রা জানান।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া আগুন ১টা ৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ৫টি বিল্ডিংয়ে।
আরো : রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকান্ডে ৪৫ জনের মৃত্যু
চকবাজারে ভয়াবহ আগুন : ১৬ জন দগ্ধসহ আহত শতাধিক, অর্ধশত মেডিকেলে ভর্তি
বিএম/রাজীব সেন
