বিচারকের মোবাইল চুরির দায়ে গ্রেফতার কাশেমের স্বীকারোক্তি

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক সারোয়ার জাহানের চুরি হওয়া মোবাইল চোর আবুল কাশেমকে গ্রেফতারের পর আদালতে তুলেছে পুলিশ। চোর আবুল কাশেম আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।

    কাশেম জানায়, বিচারকের শাওমি অ্যন্ড্রয়েট সেটটি সে চুরি করে নগরীর পুরাতন স্টেশন রোড এলাকায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে। পরে সে টাকা দিয়ে সে জামা কাপড় ও জুতো কিনে নেন। মূলত পোষাক কেনার উদ্দ্যেশেই মোবাইল ফোনটি চুরি করা হয়েছে দাবী মোবাইল চোর কাশেমের। তবে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলশী থানায় মোবাইল চুরির একটি মামলা দায়ের করেন বিচারক সরোয়ার জাহান। মামলার নম্বর ৭(২)১৯। তার মামলায় সম্প্রতি পুলিশ মোবাইল চোর আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে তিনদিনের রিমান্ডে নেন। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে হাজির করা হয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খানের আদালতে। সেখানে জবানবন্দি দেন আবুল কাশেম। কাশেমের জবানবন্ধি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খান।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, কাশেম তার মোবাইল চুরির কর্মকান্ড নিয়ে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। কাশেম জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের মোবাইল স্বর্ণ ও বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নগরীর ভাসমান চোরাই মার্কেটে বিক্রি করে।

    গত ৪ জানুয়ারি জিইসি মোড়ের কে স্কয়ার থেকেও সে একটি শাওমি মোবাইল চুরি করে। সেটি ছিলো চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক সারোয়ার জাহানের। কাশেম জবানবন্ধিতে আরো বলেন মোবাইলটি সে চোরাই মার্কেটে বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছে সেখান থেকে তার জন্য কিছু পোষাক ও জুতো কিনে বাকি টাকা তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে।

    এদিকে পুলিশ জানিয়েছে গ্রেফতার কাশেম তার মাকে নিয়ে নগরীর খুলশী থানা ঝাউতলা এলাকার একটি কলোনীতে বসবাস করে। সে একজন পেশাদার মোবাইল চোর। এর আগেও মোবাইল চুরির দায়ে কাশেমকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বিএম/রাজীব…