গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে সংসদে আলোচনার দাবি গণফোরাম’র

    বিএম ডেস্ক : গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে সংসদে আলোচনার আহবান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে নৈরাজ্য চললেও সরকার তা বন্ধ করতে পারেনি। এ বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় পরিবহন কৌশল, আইন কানুন, নীতি-নৈতিকতার কোনো গুরুত্ব ও প্রয়োগ নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ ত্রুটিপূর্ণ পরিবহন, অদক্ষ চালক, অতিমুনাফালোভী মালিক, পথে পথে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতার কারণে গোটা পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। আহত-নিতহ হচ্ছেন বহু মানুষ।

    শনিবার (২৩ মার্চ ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলরুমে গণফোরাম আয়োজিত ‘গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরাম নেতা মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আ আমিন।

    তিনি বলেন, দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় পরিবহন কৌশল, আইন কানুন, নীতি-নৈতিকতার কোনো গুরুত্ব ও প্রয়োগ নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ ত্রুটিপূর্ণ পরিবহন, অদক্ষ চালক, অতিমুনাফালোভী মালিক, পথে পথে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতার কারণে গোটা পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। আহত-নিতহ হচ্ছেন বহু মানুষ।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সরকার বিতর্কিত পরিবহন শ্রমিক নেতাকে সড়ক পরিবহন দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্রধান করে গোটা জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। গণপরিবহনের এই অব্যবস্থাপনার কারণে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন শহরে-নগরে সৃষ্টি হচ্ছে অসহীনয় যানজট। ঢাকা শহরে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা। যার আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

    জেনারেল (অব.) আমিন আরও বলেন, দেশের গণপরিবহনের এই নৈরাজ্যের দায় বিআরটিও এড়াতে পারে না। এই প্রতিষ্ঠানটি সুশাসনের অভাব, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও লোকবল সংকটে আক্রান্ত। ঢাকার গণপরিবহনে যাত্রী উঠানো ও নামানোর জন্য নির্দিষ্ট স্টপেজ কাগজে থাকলেও বাস্তবে কার্যকর নেই। যত্রতত্র যাত্রী উঠানো ও নামানোর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গণপরিবহনের এই নৈরাজ্য বন্ধ ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন গণফোরামের এই নেতা।

    তিনি বলেন, গণপরিবহন আইন ন্যায্যতার ভিত্তিতে যুগপোযোগী করে তার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। চালক শ্রমিকের মজুরি ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ এবং যাত্রাপথে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় দোষী চালক ও মালিকের সাজা নিশ্চিত করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ সকল গণপরিবহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, গণফোরাম নেতা আ ও ম শফিক উল্লাহ, মোস্তাক হোসেন, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    বিএম/রনী/রাজীব