অর্থাভাবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আ’লীগ নেতা : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

    বিএম ডেস্ক : অর্থের অভাবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম শফি।

    ৬৫ বছর বয়সী এই নেতা এখন প্রায় মৃত্যুপথ যাত্রী। তাঁর দুটি কিডনিই ৯৫ পাসেন্ট অকেজো হলেও টাকার অভাবে অসহায় তার পরিবার। তিনি কয়েক বছর ধরেই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে কিডনী ডায়ালিসিস করেই বর্তমানে তার জীবন চলছে। দ্রুত কিডনী প্রতিস্থাপন করা না গেলে আওয়ামীলীগের এ নেতার জীবন নিয়ে সঙ্কট বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তাঁর হার্টের অবস্থাও বেশ দুর্বল।

    দ্রুত দুটি কিডনির মধ্যে অনন্ত একটি হলেও প্রতিস্থাপন করা না গেলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব। এর আগে চিকিৎসার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার ভারতেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্ত বর্তমান সময়ে অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। এ জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০/৩৫ লক্ষ টাকা।

    জীবন-মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতার শেষ সম্ভল বলতে ভিটাবাড়ী ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের এ নেতার বেশ নাম-ডাক-খ্যাতি থাকলেও অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দারপ্রান্তে গিয়ে দাড়িয়েছে।

    এর আগে অসুস্থ এ নেতার চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ(পাজেপ) সদস্য জুয়েল চাকমাসহ তার শুভাকাঙ্খিরা চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন।
    এস এম শফির ছোট ছেলে নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘অর্থের অভাবে বাবার কিডনি প্রতিস্থাপন করা বা বিদেশে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

    দিদারুল আলম বলেন, ত্যাগী এ নেতার খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগের জন্য যে অবদান রেখেছে তার দূসময়ের আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাসহ বর্তমান সময়ে সরকারী গুরুতপূর্ণ দায়িত্বে পালনকারীদের এগিয়ে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সে সাথে তিনি আওয়ামীলীগের এ নেতার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।

    এস এম শফি বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের আগে চট্টগ্রামের ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জাতির জনককে হত্যার পর মদনহাটে (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা) বিক্ষোভের জেরে আরো কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর ওপরও হুলিয়া জারি করা হয়। পরে একই বছরের ২৫ আগস্ট তিনি পালিয়ে খাগড়াছড়ি আসেন। তিনি টানা তিনবার পৌরসভার কাউন্সিলর, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্যও ছিলেন।

    এছাড়াও তিনি ১৯৯০ সালের দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ২০০০ সালের পর থেকে গত বিশ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ নেতা পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বশস্ত্র সংঘাতের পথ থেকে শান্তির পথে ফিরিয়ে আনতে পার্বত্য চুত্তির পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এ নেতা।

    মাঠে সরব এ নেতা সক্রিয় হলে খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের মধ্যে প্রাণ ফিরে পাবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। তাই দুঃসময়ের এই নেতাকে রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা স্বজনরা।

    বিএম/রনী/রাজীব