দুই ছাত্র আহতের পর হুঁশ ফেরে কর্তৃপক্ষের : দুপুরে দুঘর্টনা রাতে গতিরোধক

    পটিয়া প্রতিনিধি : অবশেষে হুঁশ ফিরেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার ১২ ঘন্টা না পেরুতেই বিদ্যালয়ের সম্মুখ সড়কে বসল গতিরোধক। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার সময় ঠিক এভাবেই মন্তব্যটি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ি নিজাম উদ্দিন।

    তিনি বলেন, এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসলেও পটিয়া পৌর সদরের আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধক (স্প্রীড ব্রেকার) বসানোর উদ্দ্যেগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বিদ্যালয়টির দুই ছাত্র আহত হওয়ার পর হুঁশ ফিরেছে।

    জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থানার মোড় এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় বিদ্যালয়টির দুই শিক্ষার্থী। সম্পর্কে তারা আপন দুই ভাই। এ দুর্ঘটনার পর স্কুল সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে। পরে ঘাতক তেলবাহী ট্রাকটি আটক করে বিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধক স্থাপনের আশ্বাস দেয় প্রশাসন। অবরোধ থেকে সরে আসে শিক্ষার্থীরা।

    প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাস পালন করতে দুপুরে ঘটনা ঘটে যাওয়ার ১২ ঘন্টার ভেতরেই দুটি গতিরোধক নির্মাণ করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় সড়ক জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো হয় দুইটি স্প্রীড ব্রেকার। স্প্রীড ব্রেকারগুলো পটিয়া কলেজর উত্তর গেইটের সম্মুেেখ ১টি এবং অপরটি বসানো হয় পটিয়া আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে।

    সাধারন জনগণ অভিযোগ করে বলেন, দূর্ঘটনা ঘটার পরে কেন সড়ক জনপথের ঘুম ভাঙ্গে ? চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন আগে থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। কোথাও এখনো নেই কোন ওভারপাস, নেই কোন ছাত্র-ছাত্রী পারাপারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যখন দূর্ঘটনা ঘটে তখন বসানো হয় স্প্রীড ব্রেকার।

    সম্প্রতি চট্টগ্রাম কক্সবাাজার মহাসড়কের শিকলবাহা কলেজ বাজার এলাকায় ১স্কুল ছাত্রী আহত হওয়ার পরে ছাত্র-ছাত্রীরা সড়ক অবরোধ করে গাড়ী ভাংচুর করে প্রতিবাদ জানালে পরে সেখানে ডাবল লাইনের উভয়পাশে বসানো হয় স্প্রীড ব্রেকার।

    পটিয়ায় তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ২ ছাত্র আহত : সড়ক অবরোধ

    পটিয়া আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও সাংবাদিক এটিএম তোহা বলেন সড়ক নিরাপত্তা আইনে উল্লেখ রয়েছেন সড়কের পাশে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ এলাকা যেমন হাসপাতাল, স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা যদিও এইগুলোর পাশে লেখা থাকার কথা সামনে স্কুল গাড়ী ধীরে চলুন কিন্তু পটিয়ার কোন প্রান্তে এই সাইনবোর্ড দেখা মেলেনি।

    পটিয়ার সড়কের পাশে রয়েছে বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, বাজার, হাসপাতাল। স্প্রীড ব্রেকার থাকার আবশ্যকতা থাকলেও তা এখানে নেই। পটিয়া থানা থেকে বাস ষ্টেশন পর্যন্ত ৩টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এতদিন কোন প্রতিষ্ঠানের সামনে বসানো হয়নি স্প্রীড ব্রেকার । যখন দূর্ঘটনা ঘটল তখন সড়ক জনপথ তাড়হুড়া করে দুইটি স্প্রীড ব্রেকার বসায় গতকাল রাতে। কিন্তু কেন, তা আগে করলে ক্ষতি কি হতো প্রশ্ন এ শিক্ষকের।

    এছাড়া সড়করে পাশে হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা থাকা দরকার, সামনে স্কুল বা হাসপাতাল। হাইড্রোলিক হর্ণ বাজাবেন না। কিন্তু পটিয়ার কোন প্রান্তে নেই এই সাইনবোর্ড। আরো বড় দূর্ঘটনার ঘটার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পটিয়ার সচেতন নাগরিকরা।

    গতকাল দুপরে পটিয়া পৌর সদরের আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাদের বাচাঁর এখনো শংকা কাটেনি বলে জানিয়েছে সহপাঠীরা।

    বিএম /সঞ্জয় সেন/রাজীব সেন…