ফার্মেসীতে ওষুধ আনতে যাওয়া শিশুকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ

    বিএম ডেস্ক : মহেশপুরে ওষুধের দোকানে সেবা নিতে আসা এক ষষ্ঠী শ্রেণির ছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে দোকনদারের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।

    রবিবার বিকেলে মহেশপুর থানার সেজিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষক সাইফুল একই গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার নুর মোহাম্মদের ছেলে। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক।

    মহেশপুর থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর থানার সেজিয়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী রবিবার দুপুরে সাইফুলের দোকানে জ্বরের ওষুধ নিতে আসে। এ সময় সাইফুল মেয়েটিকে ঘরে বসিয়ে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়লে সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে।

    ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে খুঁজতে বের হয়। পরে সাইফুলের দোকান থেকে তাকে উদ্ধার করে। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে মায়ের কাছে সে ঘটনাটি জানায়। পরে স্থানীয় লোকজন সাইফুলকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

    রবিবার বিকালে মহেশপুর থানা পুলিশ সেজিয়া গ্রাম থেকে সাইফুলকে আটক করে নারী ও শিশু নির্যাতন দম আইনে ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করে। সোমবার সকালে মহেশপুর থানা থেকে আসামিকে ঝিনাইদহ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিন আলম জানায়, সাইফুল ধর্ষণের ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাকে রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। ভিক্টিমকে প্রথমে জীবননগর হাসপাতালে পরে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সাইফুলের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    মেয়েটির পিতা একজন সাধারণ কৃষক। পরিবারটি এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

    বিএম/রনী/রাজীব