বিএম ডেস্ক : বাংলাদেশি যুবক শাহাবুল হোসেন ফয়সাল (২৮) নামের এক যুবকের প্রেমের টানে আমেরিকান নাগরিক ডংসন (৫৫) নামের এক মধ্যবয়সী নারী চুয়াডাঙ্গায় চলে এসেছেন। ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়েও করেছেন ওই যুবককে।
ডংসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশি অজানা এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রতিদিন ফোনালাপে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বনানী পাড়ার সোনালী ব্যাংকের কর্মচারী শাহাবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আমেরিকার নাগরিক ডংসন (৫৫) নামের এই মধ্যবয়সী নারীর সাথে। ফয়সাল প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেনি যে ডংসন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু তা সত্যিতে পরিণত হলো।
গত ১৩ এপ্রিল শনিবার আমেরিকা থেকে আসা ওই নারীর সাথে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে নাম পরিবর্তন করেন। নাম রাখেন মরিয়ম এবং ১০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়েও করেন।
বিয়ের পর থেকে ফয়সাল ও ডংসন লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যান। তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফয়সালের বাড়িতে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাদের দেখা মেলেনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিক ফয়সালের আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের নোটারি পাবলিকের অ্যাডভোকেট এস এন এ হাশেমী বলেন, মধ্যবয়সী এক মার্কিন নারীর সঙ্গে ফয়সাল নামে এক যুবকের বিয়ে হয়েছে। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন।
১ নম্বর আলোকদিয়া ইউনিয়নের কাজী হাশেম আলী জানান, ১৩ এপ্রিল শনিবার বিবাহ রেজিস্টারে ফয়সাল উল্লেখ করেন, তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ পাড়ার শাহাবুলের ছেলে। সে ৫৫ বছর বয়সী এক মার্কিন নাগরিক ডংসনকে এফিডেফিটের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে ১০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করার পর বিবাহ করে। তবে তিনি ওই মার্কিন নাগরিক ডংসনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন তিনি খুব শিগগিরই আবার দেশে ফিরে যাবেন।
বিএম/রনী/রাজীব
