রোনালদোর দুর্দান্ত গোলের পরও ড্র করল জুভেন্টাস

    ক্রীড়া ডেস্ক : ঘরের মাঠে শুরু থেকেই জুভেন্টাস শিবিরে চাপ সৃষ্টি করেই খেলে আয়াক্স। গোছানো আক্রমণগুলো করেছে তারাই। কিন্তু চোট থেকে ফেরা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর গোলে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই গোল শোধ করেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ দাভিদ নেরেস। কিন্তু এরপর আর গোলের দেখা মেলেনি। ফলে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

    তবে জুভেন্টাসের জন্য স্বস্তির খবর অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে তারা। তার উপর দ্বিতীয় লেগ খেলবে নিজেদের মাঠে। দ্বিতীয় রাউন্ডে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল দলটি। অবশ্য প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে অবিশ্বাস্য আরও একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল আয়াক্সও।

    জয়টি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। কিন্তু চলতি আসরে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

    এদিন ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে হাকিম জিয়েখের দূরপাল্লার শট বাইরে জাল কাঁপায়। ১২তম মিনিটে জিয়েখের আরও একটি দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। ছয় মিনিট পর তো অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন সেজনি। এবারো ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জিয়েখের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন এ গোলরক্ষক। ২৫ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে থেকে ভ্যান ডি বিকের শট লক্ষ্যে থাকেনি।

    জোয়াও কানসেলোর ক্রস থেকে ডিবক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়ে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। বিরতির পর মাঠে নেমেই সমতায় ফেরে আয়াক্স। সে গোলে অবশ্য দায় রয়েছে নিজেদের গোলের জোগানদাতা কানসেলোর। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ডিবক্সে ঢুকে কোণাকুণি জোরালো এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ দাভিদ নেরেস।

    পাঁচ মিনিট পর আবার জালে বল জড়িয়েছিলেন নেরেস। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়লে সে গোল বাতিল হয়। ৭০ মিনিটে তাদিচের ক্রসে ডি বিক ঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে পারলে এগিয়ে যেতে পারতো আয়াক্স। ৮৫ মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় আয়াক্স। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন বদলী খেলোয়াড় দিয়াগো কস্তা। কিন্তু গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারলেও বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে সে বল। ফলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

    বিএম/রনী/রাজীব