শপথ ও সংসদে যাওয়ার কারণ জানালেন মির্জা ফখরুল

    যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় সংসদে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

    সব জল্পনা কল্পনা শেষে সংসদ ভবনে শপথ নেন বিএনপির নির্বাচিত চারজন প্রার্থী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজ কার্যালয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে (এমপি) তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। তবে শপথ নেননি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    শপথ নেওয়া বিএনপির এই চারজন হলেন- বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মো. হারুন অর রশীদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।

    এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নিয়েছেন। যদিও পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটের দিন আগের রাতেই সব ব্যালট বক্স ভরে রাখে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। ব্যাপক কারচুপি ও রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। আমরা এখনো মনে করি নির্বাচনই ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র পথ। কিন্তু এই সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় সেটা প্রায় বন্ধের পথে। এখন বিরোধী দল হিসেবে সংসদে গিয়ে সরকারের বিপক্ষে কথা বলার মতো সামান্য এই সুযোগটুকু আমাদের জন্য বাকি আছে। আমরা এখনো নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।

    তবে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, ইতিপূর্বে শপথ নেয়ার কারণে বিএনপি যে সংসদ সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তার বিষয়ে পরবর্তীতের আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।

    তবে তিনি কবে সংসদে যোগ দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অপেক্ষা করুন জানতে পারবেন।’

    লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে সংসদে কথা বলার সীমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংসদ ও রাজপথের সংগ্রামকে যুগপৎভাবে চালিয়ে যাওয়াকে আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করছি। জাতীয় রাজনীতির এই সঙ্কটময় জটিল প্রেক্ষিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎস, মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমাদের দল সংসদে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    তিনি বলেন, আশা করি দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আমাদের এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় অবিলম্বে একটি অবাধ জাতীয় নির্বাচন আদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রীসহ সকল রাজবন্দিকে মুক্ত করে আমরা খালেদা জিয়া ঘোষিত জাতীয় ঐকমতের বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

    বিএম/রনী/রাজীব