জুমার দিন যে বিশেষ মুহূর্তে দোয়া কবুল হয়

    বিএম ডেস্ক : পবিত্র জুমার দিনের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, এদিনে বিশেষ একটা মুহূর্ত আছে, তখন বান্দা তার রবের কাছে যা-ই চায়, প্রিয় রব দিয়ে দেন।

    প্রিয় নবীজি (সা.) জুমার দিনের কথা আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন,

    فِيهِ سَاعَةٌ، لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى شَيْئًا، إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ

    ‘এদিনে একটা সময় আছে, মুসলিম বান্দা একাগ্র হয়ে নাছোড়বান্দার মতো, আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে থাকলে, তিনি তাকে দিয়েই দেন। নবীজি একথা বলার পর, হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে বুঝিয়েছেন, দোয়া কবুলের সেই সময়টা খুব দীর্ঘ নয়। স্বল্পমেয়াদী।’ (আবু হুরায়রা রা., বুখারি)

    তাহলে সময়টা কখন? এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামেরও কৌতূহল ছিল। বড় বড় সাহাবী এর অনুসন্ধান করেছেন। হাদীসে কয়েকটা সময় উল্লেখিত হয়েছে।

    প্রথম সময়:

    ইবনে উমার (রা.)- এর সঙ্গে দেখা হলো আবু বুরদার। জানতে চাইলেন,

    • আপনার বাবা (আবু মুসা আশআরী (রা.)- কে জুমার দিনের বিশেষ সময় সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন?

    -জি, শুনেছি। বাবা বলেছেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূলের কাছে শুনেছি,

    هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ

    সে সময়টা হলো, ইমাম মিম্বরে বসার পর থেকে সালাত সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম ৮৫৩)।

    দ্বিতীয় সময়:

    জুমার দিনের শেষ সময়।

    يَوْمُ الجُمُعة ثِنْتَا عَشْرَةَ سَاعَةً ، لاَ يُوجَد فِيهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ الله شَيْئاً إِلاَّ آتَاهُ إِيَّاهُ ، فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ العَصْر

    জুমার দিন বারো ঘণ্টা। (তার মধ্যে এমন বিশেষ এক ঘণ্টা বা মুহূর্ত আছে) তাতে কোনো মুসলিম বান্দা দোয়া করলে, আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেই নেন। তোমরা সে বিশেষ মুহূর্তকে, আসরের পরে (মাগরিবের আগে) শেষ সময়টাতে অনুসন্ধান কর (জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.), আবু দাউদ ১০৪৮)

    আরেক হাদীসে সময়টা আসরের পর থেকে সূর্য ডুবা পর্যন্ত বলা হয়েছে।

    আমার নানা সমস্যা? আমি বিপদে আছি? পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ? আর্থিক অনটন প্রকট? সামাজিক বা রাজনৈতিক শত্রুরা কষ্ট দিচ্ছে? বিশেষ কোনো চাওয়া আছে? চাকুরি-বিয়ে-সন্তান?
    জুমার দিন বসে যাই না!

    জুমার সময়– দুই খুতবার মাঝখানে, ইমাম যখন নিরব হয়ে বসেন? আসরের পর– মাগরিবের আজান হয়ে যাওয়া পর্যন্ত?

    মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই বিশেষ মুহুর্তে দোয়ারত থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

    বিএম/রনী/রাজীব