কর্ণফুলিতে নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার : এখনো নিখোঁজ নির্মাণ শ্রমিক হাবিব

    চট্টগ্রাম মেইল : কর্ণফুলী নদীতে যাত্রী নিয়ে ডাঙ্গারচর থেকে সল্টগোলা ঘাটে যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা ৩ যাত্রীর মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে নৌ বাহিনীর বিএনএফডি সুন্দরবন ডক ঘাট এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটি উদ্ধারের পর তাদের পরিচিতি শনাক্ত করেছে নিহতদের স্বজনরা।

    মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হওয়া দুটি মরদেহের মধ্যে একটি কর্ণফুলী উপজেলা জুলধা ডাঙ্গাচর ৩নং ওয়ার্ড দিঘীর পাড় শুক্কুর মেম্বারের বাড়ীর আবদুল খালেকের ছেলে মো. হানিফ (৩৫) এর এবং অপরটি একই উপজেলার ডাঙ্গাচর ১নং ওয়ার্ডের সিদ্দীকের বাড়ী নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আকবর (৩৬)’র।

    ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা কর্ণফুলিতে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন নিহত মরদেহগুলো স্বজনরা শনাক্ত করেছে এখন হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

    কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটে নৌ বাহিনীর বিএনএফডি সুন্দরবন ডক ঘাট এলাকা থেকে লাশ দুটি পাওয়া যায়। তিনি বলেন, গত ৭ এপ্রিল বিকালে ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছে জুলধা পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজে থাকা নির্মাণ শ্রমিক হাবিবুর রহমান। তার খোঁজে উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান আছে বলে জানান তিনি।

    উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয় জানান, কর্ণফুলির নদীর ডাঙ্গারচর ঘাট থেকে শহরের উদ্দ্যেশে সল্টগোলা ঘাটে যাওয়ার পথে তিনজন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ দুজনের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর নিহত আকবরের স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে এবং হানিফের স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শোকে পাথর হয়ে যায় নিহতের স্বজনরাও। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

    এর আগে গত ৭ এপ্রিল ১৩ জন যাত্রী নিয়ে ঘাট পরিবর্তণের সময় ভাটার টানে নৌকাটি ভেসে যাওয়ায় আতঙ্কে কয়েকজন যাত্রী নদীতে লাফ দেন। ঘটনার দিন স্থানীয় মাঝি ও জাহাজের নাবিকদের সহায়তায় কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ থাকে তিনজন।

    বিএম/রাজীব..