ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রস্তুতি দেখতে উপকূলীয় এলাকায় মেয়র
    আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন-আ জ ম নাছির

    চট্টগ্রাম মেইল : ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে চলেছেন।

    চসিকের এ প্রস্তুতি সরেজমিনে দেখার জন্য আজ শুক্রবার বিকেলে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। পরিদর্শনকালে মেয়র এলাকার বাসিন্দাদের সাথে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন এবং তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোজ খবর নেন।

    এসময় তিনি স্থানীয় দোকান মালিক ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য ও মালামাল নিরাপদে সরিয়ে রাখা, গৃহস্থলীর গবাদীপশু ও শিশু-বৃদ্ধদের সময় হাতে রেখে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন।

    মেয়র বলেন, আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন। আমরা আছি আপনাদের সেবায়। সিটি করপোরেশন পরিচালিত স্কুল ও কলেজসহ উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    মহাবিপদ সংকেত দেখা মাত্রই সিটি করপোরেশনের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা উপকূলীয় জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত গাড়ি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় চসিক ও রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা যৌথভাবে মাইকিং করে জনগণকে সচেতনা সৃষ্টি কাজে নিয়োজিত আছে এবং চসিক এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

    পরিদর্শনকালে কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, রাজনীতিক নোমান আল মাহমুদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্যাবস্থাপনা বোর্ড এর সদস্য ডা.শেখ শফিউল আজম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণি চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কায় নগরবাসীর যে কোনো সেবা দানের জন্য সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। গতকাল বৃহষ্পতিবার রাত ও আজ বিকেলে সিটি মেয়র কন্টোলরুমে বসে বিভিন্ন উপকুলীয় এলাকার কাউন্সিলরদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

    নগরবাসীর জরুরী প্রয়োজনে তথ্য ও সেবা পেতে ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৪৬৯ এবং ০১৮১৯-৩৪৯০৯৩ নম্বারে যোগাযোগের জন্য চসিকের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এছাড়াও উপকুলীয় জনসাধারনকে সরিয়ে আনা এবং দূর্যোগ কালীন ও দূর্যোগ পরবর্তী রাস্তাঘাট পরিস্কার রাখার কাজে রেড ক্রিসেন্টের ৩শত স্বেচ্ছাসেবক কর্মী এবং চসিক এর ৪ হাজার শ্রমিক সহ পর্যাপ্ত গাড়ী কাজে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

    দূর্যোগপরবর্তী সময়ের জন্য শুকনো খাবার গুড়,চিড়া,মুড়ি,দিয়াশলাই,মোমবাতি,ওরস্যালাইন ও পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবাদানের জন্য ৭টি মেডিকেল টীম প্রস্তুত সহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিক জেনারেল হাসপাতাল খোলা রাখা হয়েছে।

    বিএম/রাজীব..