কর্ণফুলী নদীতে ভেসে উঠল গৃহবধূর লাশ

    রাউজান প্রতিনিধি : রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার রাঙ্গুনিয়ার শহীদ উল্লাহর মেয়ে সাহেদা আক্তার শারমিন (২২)। বিয়ে হয়েছে উপজেলা পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নোয়াগাঁও ফকিরখীল গ্রামের মো: নবীর হোসেনের ছেলে মো: আলমগীরের সাথে। বিয়ের ছয় মাস পার না হত্রেই কর্ণফুলী নদীতে ভেসে উঠল সাহেদার লাশ। গত বুধবার ১ মে বিকালে লাশটি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট এলাকার কর্ণফুলি নদীতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর দিলে রাউজান থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

    সূএে জানা যায়, স্থানীয় লোকজন কর্ণফুলী নদীর রাউজান খেলারঘাটে লাশ আটকে থাকতে দেখে রাঊজান ও রাঙ্গুনিয়া পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এই সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গৃহবধুর আত্বীয়স্বজন।

    উপস্থিত গৃহবধুর স্বামী আলমগীর জানান, গত ছয়মাস আগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মকবুল আহম্মেদের বাড়ীর মো. শহীদুল্লাহর মেয়ে সাথে তার বিয়ে হয়। সে ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার একটি ভবনে কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ফোনে জানতে পারেন তার স্ত্রী নিখোঁজ হবার খবর।

    এই বিষয়ে নিহত গৃহবধুর বাবা মো. শহীদুল্লাহ তার মেয়ের সাথে স্বামীর সুসম্পর্ক ছিল। তবে অজ্ঞাত কারণে ৩০ এপ্রিল তার মেয়ে শ্বশুড় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। আজ থানা পুলিশের কাছে জানতে পারি আমার মেয়ের লাশ কর্ণফুলি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেল এএসপি আবুল কালাম, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি কেপায়েত উল্লাহ ও চুয়েট পুলিশ ফাড়ি এস আই ইমতিয়াচ আলী। তারা এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যা তা খতিয়ে দেখবে বলে জানান।

    বিএম/হামজা/রাজীব..