কেএসআরএম’র আর্থিক অনুদানে সিসি ক্যামেরার আওতায় বন্দর থানা এলাকা

    চট্টগ্রাম মেইল : সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রোধসহ অপরাধমুক্ত নগর গড়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার অংশ হিসেবে নগর জুড়ে অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্দ্যেগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় বসানো হয়েছে এসব সিসি ক্যামেরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা এলাকাকে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। সিসি ক্যামরা স্থাপনে সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তা করছে শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।

    ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বন্দর এলাকায় শহীদ মুন্সি ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে বন্দর থানার অধীনে ওয়ার্ডগুলোতে স্থাপিত সিসি ক্যামরা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার কেএসআরএম শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ভাল একটি উদ্দ্যেগের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, অনেক সময় সুনিদির্ষ্ট চিহ্নিতকরণের অভাবে অনেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়ে। সিসি ক্যামরা স্থাপনে অপরাধীকে যেমন চিহ্নিত করা যাবে তেমনি এলাকায় অপরাধ প্রবণতাও রোধ হবে। এ

    বলেন, এ উদ্দ্যেগে স্থানীয়রা খুশি হলেও খুশি হতে পারেনি সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবাসায়ী, খুনি, চাঁদাবাজরা।  আমরা সাধারন মানুষের পক্ষে, শান্তি কামী মানুষের পক্ষে, যে মানুষ এ কর্মকান্ডে খুশি হবেনা সে আমাদের শত্রু, আপনাদের শক্রু, চট্টগ্রামের শক্রু, সারা বাংলাদেশের শক্রু। যাদের মাদক ব্যবসার কারনে আপনার আমার পরিবার ধ্বংস হচ্ছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে। আপনার ঘরে, পাড়ায়, উপর নিচে কারা থাকে তাদের প্রতি নজর রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন, সিএমপি’র স্বপ্ন, আগামী রমজানের, মধ্যে ঈদের আগে সারা শহর সিসি ক্যামেরার আওতার মধ্যে নিয়ে আসা। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তাছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে পাড়া, মহল্লা অথবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেগুলো একটি নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রতিটি থানার সাথে সংযুক্ত করা হবে। এসব সিসি টিভির মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহর অপরাধ মুক্ত থাকবে, কোন অপরাধ হলে অপরাধী সনাক্ত এবং ধরা সহজ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, কেএসআরএমে এর মত বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে তা আরো দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব।

    এ প্রসঙ্গে কেএসআরএম এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান বলেন “নগরে ক্যামরা স্থাপন করে সমাজের সেবা করা একটি দুর্লভ সুযোগ। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অতিসত্ত্বর রাষ্ট্র নিজ খরচে পুরো দেশকে আন্তর্জাতিক মানের নজরদারির আওতায় নিয়ে আসবে। তখন এই সুযোগ আর থাকবে না। তাই আমি মনে করি এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ এলাকাবাসী আর পুলিশের পাশে থাকার”।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম, মহানগর কমিউনিটি পুলিশ সদস্য অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, কেএসআরএম মানবসম্পদ বিভাগের জিএম সৈয়দ নজরুল আলম, কেএসআরএম মার্কেটিং ডিজিএম রফিকুল আলম, কেএসআরএম সিনিয়র অফিসার-ব্রান্ড মিজান-উল-হক।

    বিএম/রাজীব সেন প্রিন্স