ক্রেতা সেজে মুনাফালোভী মাংস ব্যবসায়ি চিহ্নিত করলেন ইউএনও : জরিমানা

    চট্টগ্রাম মেইল : রমজান মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে রোজার প্রথম দিনেই হাটহাজারী উপজেলার গরুর মাংস বিক্রেতাদের সাথে বিশেষ আলোচনায় বসেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। আলোচনায় তাদের পছন্দমতই হাঁড় ছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯০ টাকা এবং হাঁড়সহ ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করার জন্য নির্ধারন করা হয়।

    শুধু আলোচনা করেই বসে থাকতে চাইনা আলোচিত এ নির্বাহী কর্মকর্তা। তার নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী ব্যবসায়িরা গরুর মাংস বিক্রি করছেন কিনা তা তদারকি করতে তিনি আজ ছদ্মবেশে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের বিভিন্ন মাংসের দোকানে যান। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ির কাছে ছদ্মবেশে মাংসের দাম জিজ্ঞাসা করেন। কেউ বলছেন ৭০০ টাকা আবার কোন কোন দোকানী বলছেন আপনার সম্মানার্থে ৫০ টাকা কমে ৬৫০ টাকায় রাখা যাবে।

    এসব কথা শুনে ক্ষিপ্ত। মুহুর্তেই মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে ছদ্মবেশ খুলে ফেলেন ইউএনও রুহুল আমিন। থমকে যায় মাংস ব্যবসায়িরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয় জেনে মাংস ব্যবসায়িরা তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে এ ধরনের ভূল আর হবে না বলে আকুতি করতে থাকে। একে তো আদেশের অবমাননা অন্যদিকে তবে রোজার মাসে ক্রেতা ঠকানো মারাত্মক অন্যায় উল্লেখ করে তিন দোকানীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে শেষ বারের মত সকলকে সতর্ক করে দেন রুহুল আমিন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, গত পরশুদিন উপজেলার মাংস বিক্রেতাদের সাথে আলোচনা করে মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মূল্য তালিকা অনুযায়ী বিক্রেতারা মাংস বিক্রি করছে কিনা দেখতে আজ ছদ্মবেশে বিভিন্ন মাংসের দোকানে যায়। তাছাড়া বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বেশ কয়েকজন অভিযোগও করেন। বাজারে গিয়ে তালিকার চাইতেও অধিক মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করার সত্যতা পায়। তাদেরকে জরিমানা করে শেষ বারের মত সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

    এ অভিযান ও তদারকি পুরো রমজান মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন এ নির্বাহী কর্মকর্তা।

    বিএম/রাজীব সেন…