ঘূর্ণিঝড় ফণী : শুক্রবার সব মসজিদে দোয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবল থেকে দেশবাসী যেন রক্ষা পায় সে জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (৩ মে) বাদজুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

    তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার কথা রয়েছে, এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে আল্লাহ যেন দেশবাসীকে রক্ষা করেন, সেজন্য বাদজুমা সারাদেশের মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

    বিকেল ৩টার দিকে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ফণী বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৭শ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বর্তমানে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে, যদি এভাবে অগ্রসর হতে থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করার প্যাটার্ন দুর্বল হয়ে যাবে।

    পটুয়াখালীর পায়রা ও বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    আজ বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এর চিত্র

    এটি এখন ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের ভেতরের বাতাসের গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, এটি বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি আমাদের খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাতও করে তারপরেও ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি দিক পরিবর্তন করে উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নিতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    ঘূর্ণিঝড় ৩ মে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    বিএম/রনী/রাজীব