বিশ্বখ্যাত ইউস্তোমা ফুলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু বাংলাদেশে

    বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক ভাবে “অলোকা” নামে বিশ্ববিখ্যাত ফুল ইউস্তোমার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছেন রাজশাহীর তরুন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী মতিউর রহমান।

    রাজশাহীর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি এগ্রোব্যাক এ দীর্ঘ ৬ বছরের গবেষণা ও নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে আমেরিকার বিখ্যাত ফুল ইউস্তোমার টিস্যু কালচার প্ল্যান্টেশন শেষে বাণিজ্যিক উৎপাদনে সফল হয়েছেন এই তরুন বিজ্ঞানী।

    তিনি গোলাপী, বেগুনী, সাদা, লাল সহ বিভিন্ন রংয়ের ফুল উৎপাদনে সফল হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চারা উৎপাদনসহ বাণিজ্যিক ভাবে এটিকে ছড়িয়ে দিতে চান দেশব্যাপী।

    বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় এগ্রোব্যাক এর প্রদর্শনী খামারে প্রথম দিনের ফুল উত্তোলন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’র(বিএফ এস) সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।

    তারা বলেন, এগ্রোব্যকের টিস্যুকালচার ল্যাব ও প্রদর্শনী প্লট দেখে আমরা খুব খুশী। আশা করি এটি ভবিষৎ এ লাভজনক হবে। বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের রং, সৌন্দর্য’র পাশাপাশি অধিক ফলন ও ফুলের স্থায়িত্ব একটি বড় বিষয় আর এ বিষয়গুলো পরিপূর্ণ ভাবে অলোকা ( ইউস্তোমা) ফুলে রয়েছে।

    গত দশক থেকে জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফুলের জনপ্রিয়তা বানিজ্যিক ভাবে বেড়েই চলেছে। আমরা ফুল দেখে ২০০ টি স্ট্রিক ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছি , ঢাকাতে এর চাহিদা আছে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়, আশা করছি এটি ঢাকার মার্কেটে পৌছানোর পর আর আমদানি করতে হবে না ।

    উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও গবেষক মতিউর রহমান বলেন, এগ্রোব্যাক বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে টিস্যুকালচারেরর মাধ্যমে চারা উৎপাদন ও সরবরাহ করছে। বাংলাদেশে অলোকার ভবিষৎ সম্ভাবনাময়। অলোকা এগ্রোব্যাক এর দেয়া বাণিজ্যিক নাম। আমরা টিস্যুকালচার এর মাধ্যমে ৫-৬ বছর এটা নিয়ে কাজ করে সফলতার পর আমার “মা” এর নামে নাম করন করি। এই ফুলের ইংরেজী নাম Lisianthus. বৈজ্ঞানিক নাম Eustoma grandiflorum ।

    জাপানী ভাষায় তরুকোগিকিও এবং আমেরিকাতে আমেরিকান গোলাপ নামেই পরিচিত। এটি Gentianaceae পরিবারের অন্তভূক্ত বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বিশেষ ছাটাইকরন ও যত্ন নিলে সেকেন্ডারী শাখা/সাকারের মাধ্যমে এটি পরবর্তী কয়েক বছর ফুল দেয়। এটি মূল কান্ড ও পাতায় বিভক্ত। পাতার রং নীলাভ সবুজ। গাছটি লম্বায় ২.৫-৩ ফিট পর্যন্ত হয়। এটি দেখতে প্রায় গোলাপ ফুলের মত। ধারনা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বত এলাকায় এর উৎপত্তি।

    বিএম/রনী/রাজীব