৮ লাখ ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত এএসআই মাহফুজ

    প্রায় ৮ লাখ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ফেনী জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই মাহফুজ।

    বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াবা পাচার মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান এএসআইয়ের সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন।

    ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ওই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ফেনীর আদালতে তোফাজ্জল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

    জবানবন্দিতে তোফাজ্জল হোসেন জানান, ফেনীতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়ার বছরখানেক আগে ঢাকায় এএসআই মাহফুজের সঙ্গে তার ইয়াবা ব্যবসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি বড় বড় ইয়াবার চালান নিয়ে তিনি বিক্রিও করেছে। প্রায় ৬০-৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যে চালান নিয়ে এএসআই মাহফুজ ধরা পড়েছেন ওই চালন থেকেও তাকে (তোফাজ্জল) ইয়াবা দেয়ার কথা ছিল। এ জন্য অগ্রিম টাকাও নেন মাহফুজ।

    র‌্যাবের দেয়া তথ্য মতে, গ্রেফতারের পর এএসআই মাহফুজ জানিয়েছিলেন, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে চাকরির সুবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। তার নোট বই থেকে ১৪ জনের সঙ্গে ২৮ কোটি ৪৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

    আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২১ জুন ভোরে গাড়িতে যাওয়ার সময় ফেনী সদরের লালপুর এলাকায় একটি শিশুকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই মাহফুজুর রহমান। ওই গাড়ির পিছু ধাওয়া করে র‌্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে। এ সময় তার গাড়ি থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ৭ লাখ টাকা, ৪টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৮টি ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।

    আটক তোফাজ্জল কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার পঞ্চবটি রেলওয়ে ছোট পুকুর পাড়ের বাসিন্দা।

    বিএম/রনী/রাজীব