ঢাকা ওয়াসাকে ভেঙে দু’ভাগ করার সুপারিশ

    ৬৯ এলাকার পানি বেশি দূষিত, আদালতে ওয়াসার প্রতিবেদন জমা

    ঢাকা সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা ওয়াসাকেও ভেঙে দুই ভাগে ভাগ করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

    রাজধানীবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে মন্ত্রণালয়কে এই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

    বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে ওয়াসা নিয়ে আলোচনা হয়।

    ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

    বৈঠকের বিষয়ে কমিটির সভাপতি সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ বলেন, সংসদ সচিবালয় আজকের বৈঠকের বিষয়ে ওয়াসাকে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি। কেন আসেনি আমরা সেই ব্যাখ্যা চেয়েছি।

    ওয়াসাকে ভেঙে বিভক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনও দুভাগে বিভক্ত হয়েছে। জনগণের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি ভেবে দেখতে বলা হয়েছে।

    রাজধানীর প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি মানুষের জন্য পানি সরবরাহ করে ঢাকা ওয়াসা।

    কিন্তু সেই পানিতে ময়লার সঙ্গে দুর্গন্ধসহ নানা সমস্যার অভিযোগ অনেক পুরনো।

    ঢাকায় দৈনিক বিশুদ্ধ পানির চাহিদা ২৩০-২৩৫ কোটি লিটার। ওয়াসা গভীর নলকূপ থেকে তুলে ১৭০ কোটি লিটার এবং বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পানি শোধন করে আরও ৬০ কোটি লিটার পানির যোগান দিয়ে আসছে।

    সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বেশ কিছু প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রদেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।

    এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২৭২টি প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে বেশকিছু প্রকল্পের অগ্রগতি ১০ ভাগেরও কম। কমিটি এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

    আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ ফজলে নূর তাপস, আহসান আদেলুর রহমান এবং ওয়াসিকা আয়শা খান অংশ নেন।

    বিএম/রনী/রাজীব