সরকারের অদূরদর্শীতায় কৃষি ধ্বংসের মুখে : ফখরুল

    সরকারের দুর্নীতি ও অদূরদর্শীতার কারণে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের কৃষি ধ্বংসের মুখে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেন, গরীব কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এর সুদূরপ্রসারী পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।

    শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় ব্যবসায়ীদের মুনাফা পাইয়ে দিচ্ছে। বাজার থেকে কম মূল্যে ধান কিনে চাল কল মালিকরা প্রক্রিয়া জাতের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা মুনাফা করছে। আর কৃষক তার জমিতে উৎপাদিত ধান বাজারে বিক্রি করে কেজি প্রতি লোকসান গুণছেন ১০/১২ টাকা।

    তিনি আরো বলেন, গত বছরের উৎপাদনকে হিসেবে নিলে বোরো ধানের উৎপাদন হবে প্রায় ২ কোটি মেট্রিক টন। আর সরকার সংগ্রহ করবে মাত্র ১৩ লাখ টন। যা উৎপাদনের মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আমাদের দাবি, ধান অথবা চাল সংগ্রহের পরিমাণ কমপক্ষে বোরো উৎপাদনের ১৫ শতাংশ করা হোক। এতে বেশি পরিমাণ কৃষককে সহায়তা দেওয়া যাবে।

    তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ের ধান-চাল গুদামজাতকরণের ক্ষমতা হলো প্রায় ২১ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন। এ ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে সরকারকে বেশি পরিমাণে ধান ক্রয় করতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ ধান ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দিতে হবে। হয়রানি কমিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান বা চাল কিনতে হবে। ধান-চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে অসৎ কর্মকর্তাদের জড়িত করা যাবে না এবং অসৎ কর্মকর্তাদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    এ সময় বর্তমানে কৃষকদের যে দুরাবস্থা তা দূর করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

    তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি কৃষি খাতকে একটি আধুনিক ও টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের একটি সরকার খুব জরুরি প্রয়োজন।

    এ ছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত ধানের বিপরীতে সরকার ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী কৃষককে কমপক্ষে তিন মাসের জন্য সমপরিমাণ টাকা বিনা সুদে দেওয়ার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

    বিএম/রনী/রাজীব