পরোয়ানা থাকলে ডিআইজি মিজান গ্রেপ্তার হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেই বরখাস্ত হওয়া পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এখনো কেন ধরা হয়নি, সে কারণও জানিয়েছেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে সুনির্দিষ্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলে গ্রেপ্তার করা যায় না।

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মন্ত্রী।

    এক নারীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সদরদপ্তরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এক টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও তার স্বামীকে খুন করে টুকরো করে ৬৪ জেলায় মরদেহ ফেলে রাখার ব্যাপাকে মোবাইল ফোনে দেওয়ার অডিও ভাইরাল হয়েছে এক বছর আগেই। এর মধ্যে দুর্নীতির অনুসন্ধান নিজের পক্ষে নিতে দুদক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি মিজান প্রকাশ্যেই বলেছেন।

    এর মধ্যে মিজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাও করেছে দুদক। তবু পুলিশের পক্ষ থেকে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও আজ তাকে বরখাস্তের আদেশ এসেছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেই সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে এর আগে যদি তিনি আত্মসর্পণ করেন সেটা তাহলে ভিন্ন কথা। আর যদি তা না করেন তাহলে আইন আইনের প্রক্রিয়াতেই চলবে।’

    সোমবার দুদক মামলা করার পর থেকে ডিআইজি মিজানের কোনো খোঁজ মিলছে না। তিনি দেশে আছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি দেশে আছেন কি নেই এরকম কোন কিছু শুনিনি। তার তো দেশেই থাকার কথা।’

    মঙ্গলবার পুলিশের বিতর্কিত ও আলোচিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

    এর আগে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো মাদক ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। হয় তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হয় তাদের কি পরিণতি হবে তারা সেটা ভালভাবেই জানেন। অবৈধ মাদক ব্যবসা, মাদক চোরাচালান আর দেশের মাটিতে করতে দেওয়া হবে না। এতে কোন মাদক ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ মাদক উৎপাদন করে না। তবে আমরা মাদকের রুট হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছি। কেননা আমাদের চারপাশে সীমান্ত এলাকা আর এই সীমান্ত এলাকা দিয়েই ঢুকছে মাদক। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে এগুলো রুট বন্ধ করে দিতে। আর যেন কেউ এই রুট ব্যবহার করে মাদক ঢুকাতে না পারে।’

    বিএম/এমআর