পুলিশ কনস্টেবলের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত

    চুয়াডাঙ্গায় শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সিআইডির এক কনস্টেবল। গতরাত ২ টার দিকে আলমডাঙ্গার কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কনস্টেবল অসীম কুমার ভট্টাচার্য পলাতক রয়েছেন।

    এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী, শ্যালক আনন্দ অধিকারী ও শ্বশুর সদানন্দ অধিকারী। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, সিআইডি কনস্টেবল অসীম ও ফাল্গুনি দম্পতি আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার রাতে ফাল্গুনি পাশের মহল্লা মাদরাসাপাড়ার বাবার বাড়ি যায়। পরে রাতে অসীম শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন। তার চিৎকারে শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালক এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করে অসীম।

    এসময় ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি শেফালী অধিকারী ঘটনাস্থলে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য।

    আহত আনন্দ অধিকারী জানান, ‘দিদি আমাদের বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পরই অসীম (জামাই বাবু) আমাদের বাড়িতে আসে। দিদি গেট খুলতেই তাকে উপর্যুপুরী ছুরিকাঘাত শুরু করে অসীম। মা শেফালী অধিকারী ও আমি ছুটে গেলে আমাদেরকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমার মায়ের।’

    চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে কনস্টেবল অসীম।

    চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘পুরো বিষয়টি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তবে এটি পরিষ্কার যে ওই দম্পতির মধ্যে কলহ ছিল। অসীমকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

    বিএম/এমআর