পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে শ্রীলঙ্কা
    স্বল্প পুঁজিতে শ্রীলঙ্কার ইংল্যান্ড-বধ

    লিডসে লাসিথ মালিঙ্গা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ধরাশয়ী করে ছেড়েছে লঙ্কানরা। রুট-স্টোকসের অর্ধশতকের পরেও ২৩২ রানের লক্ষ্যে রানেই গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত লড়ে ৮২ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জেতাতে পারেন না বেন স্টোকস।

    ২৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ২ ওপেনারের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। রানের খাতা খোলার আগেই জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দেন লাসিথ মালিঙ্গা। দলীয় ২৬ রানে জেমস ভিঞ্চকেও ফেরান এই পেসার।

    ৩য় উইকেটে ইয়ন মরগানকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন জো রুট। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মরগান। ফিরেছেন ২১ রানে। এরপর ৪র্থ উইকেটে বেন স্টোকসের সাথে জুটি বাঁধেন রুট। তাদের জুটিতে আসে ৫৪ রান। মালিঙ্গার শিকার হয়ে রুট ফেরেন ৮৯ বলে ৫৭ রান করে।

    জস বাটলার, মঈন আলিরাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাটলার মালিঙ্গার শিকার হয়ে ১০ রানে ও মঈন স্পিনার ধনঞ্জয় ডি সিলভা শিকার হয়ে ফেরেন ১৬ রান করে।

    ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদও দ্রুতই ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এই ২ জনকেই ফেরান ডি সিলভা। ১৭৮ রানেই ৮ উইকেট হারালে হার চোখ রাঙানি দিতে থাকে স্বাগতিকদের।

    ১৮৬ রানে জোফরা আর্চারকে উদানা ফিরিয়ে দিলে একাই লড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্টোকস। অপরপ্রান্তে থাকা মার্ক উডকে স্ট্রাইকে পাঠানোর সাহস করেননি তিনি। মালিঙ্গার স্পেলের শেষ ও ইনিংসে ৪৫তম ওভারে মাত্র ৩ রান আসে।

    ৪৬তম ওভারের ১ম ২ বলেই ২টি ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন স্টোকস। সেই ওভারে ১৫ রান নেন তিনি। পরের ওভারে নুয়ান প্রদীপের ১ম ৫ বলে স্টোকস ৯ রান তুললেও শেষ বলে উড আউট হয়ে যান। ফলে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় শ্রীলঙ্কা।

    লঙ্কানদের হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন মালিঙ্গা। ডি সিলভা নেন ৩টি উইকেট ও উদানা শিকার করেন ২টি উইকেট। ইংল্যান্ডের স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে।

    তার আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় তারা। দলীয় ৩ রানের মধ্যেই বিদায় নেন দুই ওপেনার।

    লঙ্কানদের প্রাথমিক বিপর্যয়ের সামাল দেন অভিষ্কা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিস। ৩য় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন তারা। মার্ক উডের বলে আউট হওয়ার আগে ফার্নান্দোর ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ বলে ৪৯ রান।

    ৪র্থ উইকেটে এই ২ জন ৭১ রান যোগ করেন। দলীয় ১৩৩ রানে জোড়া আঘাত পায় শ্রীলঙ্কা। টানা ২ বলে কুশল মেন্ডিস ও জীবন মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন আদিল রশিদ। কুশল খেলেন ৬৮ বলে ৪৬ রানের ধীরগতির ইনিংস।

    ৬ষ্ঠ উইকেটে ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ম্যাথিউস। ২৯ রানে জোফরা আর্চারের শিকার হয়ে ডি সিলভা ফিরলে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।

    ম্যাথিউস শেষ পর্যন্ত লড়ে করেন অপরাজিত ৮৫ রান। তার ১১৫ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে লঙ্কানরা সংগ্রহ করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৩২ রান।

    ইংলিশদের হয়ে ২টি উইকেট নেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মার্ক উড ও জোফরা আর্চার।

    এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে আসলো শ্রীলঙ্কা। তাদের পয়েন্ট হল ৬ ও ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৮।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    শ্রীলঙ্কা: ২৩২/৯ (৫০ ওভার)
    ম্যাথিউস ৮৫*, ফার্নান্দো ৪৯, কুশল মেন্ডিস ৪৬, ডি সিলভা ২৯
    উড ৩/৪০, আর্চার ৩/৫২, আদিল রশিদ ২/৪৫।

    ইংল্যান্ড: ২১২/১০ (৪৭ ওভার)
    স্টোকস রুট ৫৭, মরগান ২১,মঈন ১৬,
    মালিঙ্গা ৪/৪৩, ডি সিলভা ৩/৩২, উদানা.২/৪১।

    ফল- ২০ রানে জয়ী শ্রীলঙ্কা।

    সেরা খেলোয়াড় : ল্যাসিথ মালিঙ্গা।

    বিএম/এমআর