২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ, বহু ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি-ভিডিও শিক্ষকের মোবাইলে!

    আপত্তিকর ছবি তুলে অসংখ্য ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের মোবাইলে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রীর আপত্তিরকর ছবি মিলেছে।

    এছাড়া সে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এসব কর্মকাণ্ডে তাকে সহযোগিতা করতো স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক।

    অভিযুক্তের নাম আরিফুল ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক সে। আরেক অভিযুক্তের নাম রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। সে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।

    এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জে দুই স্কুলশিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

    জানা যায়, আরিফুল ইসলাম আট বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। দীর্ঘ এ সময়ে অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ধর্ষণ করেছেন তিনি। এলাকায় তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রচার হলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে যান। এ সময় আরিফুল ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবি ডিলিট করেন। পরে সফটওয়ারের মাধ্যমে এলাকাবাসী ছবিগুলো উদ্ধার করেন।

    এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষককে সহযোগিতা করতেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। তিন মাস আগে স্কুলের এক শিক্ষিকাকেও ওই শিক্ষক যৌন হয়রানি করে। ছাত্রীদের কোচিং করানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেন আরিফুল। সে যখনই সমস্যায় পড়তো তখনই প্রধান শিক্ষক জুলফিকার তাকে উদ্ধার করতো।

    এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়। ওই মেয়ে এখন ৯ম শ্রেণিতে পড়ছে। এখনও লম্পট শিক্ষকের কাছ থেকে পরিত্রাণ পায়নি তার সন্তান।

    র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) জানান, ২০ জনের অধিক ছাত্রীকে ওই শিক্ষক ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে, যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষকই আমাদের কছে শিকার করেছে। এ ঘটনায় আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    বিএম/এমআর