ক্যারিবীয়দের হারিয়ে দিল লঙ্কানরা

    নিকোলাস পুরানের দুর্দান্ত শতকের পরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি উইন্ডিজ। চেস্টার লি স্ট্রিটে হাই স্কোরিং ম্যাচে লঙ্কানরা জিতেছে ২৩ রানের ব্যবধানে।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অভিষকা ফার্নান্দোর শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারান লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩৮ রান।

    শ্রীলঙ্কাকে এদিন দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশাল পেরেরা। অধিনায়ক করুনারত্নে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরলেও কুশাল পেরেরা তুলে নেন অর্ধ-শতক। রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৫১ বলের মোকাবেলায় করেন ৬৪ রান।

    তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অভিষকা। কুশাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও লাহিরু থিরিমান্নের সাথে ছোট ছোট জুটি গড়ে একপ্রান্ত আগলে রাখছিলেন দৃঢ়তার সাথে। ইনিংসের শেষদিকে সাজঘরে ফেরার আগে পূর্ণ করেন শতক। ১০৩ বলের মোকাবেলায় ৯টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৪ রান। অন্যান্যদের মধ্যে থিরিমান্নে অপরাজিত ৪৫, কুশাল মেন্ডিস ৩৯ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৬ রান করেন।

    ক্যারিবীয়দের পক্ষে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার শিকার করেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান শেল্ডন কটরেল, ওশানে থমাস ও ফাবিয়ান অ্যালেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই সুনীল আমব্রিস ও শাই হোপকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় উইন্ডিজ। গেইলের ৩৫ রানের ইনিংস বড় না হওয়ায় বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে পুরানের দৃঢ়চেতা ব্যাটিং দলকে দেখায় জয়ের স্বপ্ন।

    ১০৩ বলের মোকাবেলায় ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় তার গড়া ১১৮ রানের ইনিংসের ইতি ঘটলে ক্যারিবীয়দের জয়ের স্বপ্নও নষ্ট হয়ে যায়। তার আগে ৩২ রান করা ফাবিয়ান অ্যালেন দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন পুরানকে। শেষদিকে হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানের অভাবে উইন্ডিজের ইনিংস থামে ৩১৫ রানে, ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে।

    শ্রীলঙ্কার পক্ষে লাসিথ মালিঙ্গা তিনটি এবং কাসুন রাজিথা, জেফরি ভ্যান্ডারসে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: উইন্ডিজ

    শ্রীলঙ্কা ৩৩৮/৬ (৫০ ওভার)
    অভিষকা ১০৪, কুশাল পেরেরা ৬৪, থিরিমান্নে ৪৫*, কুশাল মেন্ডিস ৩৯
    হোল্ডার ৫৯/২, অ্যালেন ৪৪/১

    উইন্ডিজ ৩১৫/৯ (৫০ ওভার)
    পুরান ১১৮, অ্যালেন ৫১, গেইল ৩৫
    মালিঙ্গা ৫৫/৩, ম্যাথিউস ৬/১, ভ্যান্ডারসে ৫০/১

    ফল: শ্রীলঙ্কা ২৩ রানে জয়ী।

    সেরা খেলোয়াড় : অভিষকা ফার্নান্দো।

    বিএম/এমআর