ফটিকছড়িতে অব্যাহত বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত

    এম জুনায়েদ,ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :

    কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হালদা, ধুরুং, সর্তা, গজারিয়া, তেলপারী, ফটিকছড়ি খালসহ বিভিন্ন খালের পানি বৃদ্ধি হওয়ায় মানুষের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি খালের পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গহিরা হেয়াকো সড়কের আমতলী, চাড়ালিয়াহাট, শাহনগর এলাকার অংশসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া নানুপুর, লেলাং, দৌলতপুর, সুন্দরপুর, সমিতিরহাট, কাজীরহাট, নারায়ণহাটসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা পানিতে ভাসছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে,কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকের প্রায় ১ শত হেক্টর আউশ ধান ও বীজ তলা ডুবে গেছে।

    নানুপুর ইউপি সদস্য তৌহিদুল আলম বলেন, নানুপুর ইউনিয়নের মন্নানিয়া সড়ক, গামরীতলা- ঢালকাটা সড়ক, পাঠান পাড়া সড়কসহ কিছু গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

    লেলাং ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভারি বর্ষণের ফলে তার এলাকার নিম্নাঞ্চল ও গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। লেলাং ও কুতুবছড়ি খালের পূর্বের ভাঙন দিয়ে পানি বের হওয়াতে কয়েকটি মৎস ও মুরগীর খামারেও পানি ঢুকে পড়েছে।

    উপজেলা কৃষি অফিসার লিটন দেব নাথ বলেন, অব্যাহত বর্ষনে উপজেলার বাগান বাজার, দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভূজপুর, লেলাং, নানুপুর, রোসাংগিরী, খিরাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের ৫০ হেক্টর আমন ধান ও ৪০ হেক্টর বীজ তলা পানিতে ডুবে রয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিতে উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নে ৭টি বসতঘর হালদায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া খিরাম ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত ২০টি পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

    ইএনও আরো বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। যেসব এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা চিহ্নিত করে সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দেন তিনি।

    বিএম/রাজীব সেন..