ফার্নিচার ব্যবসায়ী যখন এমবিবিএস ডাক্তার!

    দুইশত টাকা ফি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন ডাক্তার এমএ করিম বশির (৪৩)।

    গত ১২ বছর ধরে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আসছিলেন তিনি। অথচ র‌্যাবের অভিযানে দেখা গেল পুরোটাই ভুয়া।

    এমবিবিএস পাশ তো দূরের কথা এইচএসসির পর আর পড়ালেখাই করেননি তিনি। এর আগে তিনি ছিলেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী!

    সোমবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের হক সুপার মার্কেটের তিনতলায় নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এ ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়।

    র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা জানায়, এসময় ওই ভুয়া ডাক্তারের চেম্বারে পাঁচজন রোগী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দুজন ছিলেন পুরনো রোগী। ডাক্তারের দেয়া এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে এসেছিলেন এসব রোগী।

    র‌্যাব আরও জানায়, আটক ভুয়া ডাক্তারের পুরো নাম মো. মোস্তাক আহমেদ (করিম)। নামের সঙ্গে মিল থাকার সুবিধা নিয়ে সরকারি নিবন্ধনকৃত (২৬৬৩৩ নং) ডা. মো. মোস্তাক আহমেদের কোড ব্যবহার করে বহু বছর ধরে তিনি এ প্রতারণা করে আসছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার সালেহাকান্দি এলাকার।

    র‌্যাবের তথ্য মতে, যে প্যাডে তিনি রোগীকে প্রেসক্রিপশন দিতেন সেখানে তার পরিচিতিতে লেখা রয়েছে, ডা. মো. মোস্তাক আহমেদ (করিম) এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি (ডি-অর্থো), পিজিটি (ইমনটি ও হৃদরোগ) চিফ মেডিকেল অফিসার, সিকদার গ্রুপ, হাড়জোড়া, বাত ব্যথা, মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)। ভিজিটিং কার্ডেও এসব মিথ্যা তথ্য দেয়া রয়েছে।

    মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও পরে নিশ্চিত হয়ে সোমবার রাতে নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। পরে এইচএসসি পাস ভুয়া এমবিবিএস ডা. মোস্তাক আহমেদ করিমকে রোগী দেখার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিবন্ধনকৃত ডা. মোস্তাক আহমেদের নাম ব্যবহার করে তিনি এ প্রতারণা করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেন করিম।

    বিএম/এমআর